বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরেই ঢাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শাহবাগে জমায়েত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে হাদি মারা গিয়েছেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন ও গণভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরদিন, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হাদি। ইউনূস সরকারের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের এক কর্মী হাদির মাথায় গুলি করেন।
Advertisement
শরিফ ওসমান হাদি গত নভেম্বরে নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, দেশি-বিদেশি অন্তত ৩০টি নম্বর থেকে তাঁকে ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের ‘খুনি’ সমর্থকেরা তাঁকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন ওই পোস্টে। এর পরে ইনকিলাব মঞ্চ থেকে জানানো হয়েছিল জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে লড়বেন হাদি। এরপরেই তাঁকে ঢাকার রাস্তায় গুলি করা হয়।
Advertisement
Advertisement



