• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বাংলার ৩৫ জনগোষ্ঠীকে ওবিসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ অনগ্রসর কমিশনের

রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এ বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন

ওবিসির কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের। কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট অন্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) তালিকা থেকে বাদ দিতে বলা হয়েছে। লোসসভায় এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্র এ কথা জানায়। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এ বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার তাঁর প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছে সামাজিক এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রক।

সংসদে পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জানতে চান বিজেপি সাংসদ। ২০১১ সালে বাংলার সরকার কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় ৪৬টি জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল কিনা সে বিষয়ে জানতে চান তিনি।

Advertisement

সেই সঙ্গে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল কিনা সে প্রসঙ্গও জানতে চান সাংসদ। কলকাতা হাইকোর্টে চলা ওবিসি শংসাপত্র মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশের পর কতগুলি জনগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে, মূলত এটাই ছিল বিজেপি সাংসদের প্রশ্ন।

Advertisement

এনসিবিসি কী কী পদক্ষেপ করেছে এবং কোন কোন জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা হয়েছে তা নিয়েও রিপোর্ট চান সাংসদ। সাংসদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বিএল বর্মা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ৪৬টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল বাংলার সরকার। ২০১১ সালে এনসিবিসির তরফে ৩৭টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছিল।

সেই মতো ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এনসিবিসি পশ্চিমবঙ্গের ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সমাজ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ওই ৩৫টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবগুলিই মুসলিম ওবিসি জনগোষ্ঠী।

২০২৪ সালের ২২ মে ওবিসি নিয়ে প্রথম রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সালের পর রাজ্যের তালিকায় যত ওবিসি সম্প্রদায় যুক্ত হয়েছে, তা বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের পর থেকে জারি করা সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করা হয়। তার আগে রাজ্যে ওবিসি হিসাবে ৬৬টি সম্প্রদায় স্বীকৃত ছিল।সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করে নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রকাশ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত।

নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী রাজ্য আবার সমীক্ষা করে। তারপর ওবিসি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হয়। গত ১৭ জুন নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এরপর রাজ্য যায় সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টের নির্দেশে।

Advertisement