বাংলার চিকিৎসা গবেষণায় নতুন সম্মান যোগ হল। বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় স্থান পেলেন কলকাতার কৃতি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ডা. দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই তালিকা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়। এ বছরের প্রকাশিত তালিকায় ভারত থেকে মাত্র কয়েকজন মনোচিকিৎসক স্থান পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ডা. বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সম্মান কেবল তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং ভারতের মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণাকে বিশ্বমঞ্চে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরল। বিশেষ করে প্রবীণদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে তাঁর নিরলস গবেষণা ইতিমধ্যেই দেশের চিকিৎসা মহলে প্রশংসিত।
Advertisement
ডা. বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্য, স্মৃতিনাশজনিত সমস্যা, বার্ধক্যজনিত অবসাদ-সহ নানা বিষয়ে গবেষণা করছেন। বর্তমানে তিনি কলকাতার এক স্বনামধন্য বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ও গবেষণার দায়িত্ব সামলান। তাঁর গবেষণা বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকা ও আলোচনাসভায় গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক প্রকল্পে তিনি প্রধান গবেষক বা সহ-লেখক হিসেবে যুক্ত থেকেছেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, স্ট্যানফোর্ডের এই তালিকা তৈরিতে গবেষকদের ২২টি বড় মানদণ্ড ও ১৭৪টি উপ-মাপকাঠি অনুসন্ধান করা হয়। গবেষণার মৌলিকতা, সমাজে তার বাস্তব প্রভাব, পূর্ববর্তী বৈজ্ঞানিক সমাজে উপস্থাপিত তথ্যের ব্যবহারিক মূল্য— সবকিছু বিচার করেই সেরা গবেষকদের বেছে নেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পর ডা. দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের দেশে এখনও অনেক ভুল ধারণা ও অবহেলা রয়েছে। এই পুরস্কার আমাকে যেমন উৎসাহ দেবে, তেমনই দেশের তরুণ গবেষকদেরও নতুন পথে হাঁটার প্রেরণা জোগাবে।’ তাঁর মতে, প্রবীণদের মানসিক সুস্থতা এখন ভারতের অন্যতম বড় সামাজিক চ্যালেঞ্জ, আর এই ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
বাংলার চিকিৎসা মহল ডা. বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কৃতিত্বে স্বভাবতই গর্বিত। তাঁর সহকর্মীদের মতে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে তিনি শুধু বাংলার নামই উজ্জ্বল করলেন না, ভবিষ্যতের গবেষণা ও মানসিক স্বাস্থ্যচর্চার ক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখালেন।
Advertisement



