দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম টেস্ট চলাকালীন ঘাড়ে চোট পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে সেইসময় তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল।
পরবর্তীকালে, সেখান থেকে ছাড়া পেলেও চোট সমস্যায় প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। এমনকি, বাদ পড়তে হয় একদিনের ভারতীয় দল থেকেও। তবে, তাঁকে ফিট করে তুলতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিম। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে শুভমনের জন্য বিশেষ রুটিনও তৈরি করা হয়েছিল। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যাতে তাঁকে মাঠে নামানো যায়, সেই প্রচেষ্টাই করছিলেন বোর্ড কর্তারা। তাঁদের সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই সফল।
Advertisement
সোমবার থেকেই বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে রিহ্যাব শুরু করলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন মুম্বইতে ফিজিওথেরাপি চলেছে। তারপর চন্ডীগড়ে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে যোগ দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের এক কর্তা জানান, এইসময় একাধিকবার বিমান বদল করলেও ঘাড়ের সমস্যা নতুন করে ভোগায়নি শুভমনকে। তাই রিহ্যাব শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো তিনি ব্যাটিং অনুশীলনও শুরু করবেন, বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন ওই কর্তা। যদিও, শুভমনকে নিয়ে কোনওরকম তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় বোর্ড।
Advertisement
আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে ভারত। ফলে, হাতে এখনও সপ্তাহ খানেক সময় রয়েছে। তারমধ্যে শুভমনের ফিটনেস কেমন অবস্থায় থাকে, তার ওপরেই নির্ভর করছে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন কি না।
Advertisement



