কুরুক্ষেত্রে ভারতের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে নতুন মাত্রায় তুলে ধরতে ‘পাঞ্চজন্য’ স্মারক ও ‘মহাভারত অভিজ্ঞতা কেন্দ্র’-র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে কুরুক্ষেত্রের ধর্ম ও দর্শনের উত্তরাধিকারের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোগ স্পষ্ট হয়ে উঠল।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। এখানে ‘থ্রিডি’ মডেল, শব্দ-আলোক প্রযুক্তি এবং ভিআর-ভিত্তিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের নানা দিক, গীতার দর্শন ও মহাভারতের নৈতিক শিক্ষা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। তরুণরা যাতে সহজেই মহাভারতের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই উচ্চপ্রযুক্তির ব্যবহার।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ‘পাঞ্চজন্য’ স্মারক নিয়ে দর্শকদের মধ্যে একটা আলাদা কৌতূহল ছিল। পাঞ্চজন্য শঙ্খকে ধর্মের আহ্বান, ন্যায়ের পথে যাত্রা এবং বীরত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এই স্মারকে। মোদী ঘুরে ঘুরে স্থাপনার খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানে উপস্থিত শিল্পী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলেন।
Advertisement
সরকারি সূত্রের দাবি, এই দুই প্রকল্প কুরুক্ষেত্রকে সাংস্কৃতিক-পর্যটনের আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আরও শক্তিশালী স্থান করে দেবে। শুধু দর্শক আকর্ষণই নয়, এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটন বাড়লে আশপাশের হোটেল, পরিবহন ও ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা সরাসরি লাভবান হবেন।
তবে কয়েকজন পর্যবেক্ষকের মতে, প্রকল্পের স্থায়ী সফলতা নির্ভর করছে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, আপডেট এবং যথাযথ প্রচারের ওপর। নইলে নতুনত্ব হারিয়ে আকর্ষণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
আজকের দিনটি কুরুক্ষেত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রইল— যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি এবং পর্যটনের হাত ধরে এক নতুন দিশা দেখা গেল ‘যুদ্ধক্ষেত্র’-খ্যাত এই ভূমিতে।
Advertisement



