• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

প্রকাশ্যে রুদ্রর স্বরূপ; মুখোশ খোলার ওয়ার্কশপ

সরকারি নথি বলছে, ২০১৬ সালের অনেক আগেই পরমব্রত চট্টোপাধ‌্যায় তাঁর প্রযোজনা সংস্থা 'রোডশো ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড' তৈরি করেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

অতনু রায়

‘শহর’ ব্যান্ডের বিখ্যাত গানের লাইন, ‘মুখ মুখোশের দেখা হয়ে যায়…অস্থির আয়নায়’। ব্যান্ড শহর নয়, শহর কলকাতা এখন অস্থির আয়নায় দেখে মুখ মুখোশের মুখোমুখি সমর।
কথার পিঠে কথা নিয়ে তোলপাড় বাংলা সিনে-মহল। ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ মুক্তি এবং পরমব্রত চট্টোপাধ‌্যায়ের ফেডারেশনে ফেরার রেশ কাটার আগেই টলি-চ্যানেলে নতুন কনটেন্ট। এবার দ্বৈরথ ফেডারেশন বনাম রুদ্রনীল ঘোষের।

Advertisement

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস একাধিক অভিযোগ আনেন প্রযোজক – অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে। তথ্য সহযোগে রুদ্রনীলের প্রযোজনা সংস্থা ‘ওয়ার্কশপ প্রোডাকশন অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রাইভেট লিমিটেড’-এর বিরুদ্ধে টেকনিশিয়ানদের মজুরি না মেটানোর অভিযোগ আনেন স্বরূপ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের ‘মাতঙ্গী’ সিরিজের লাইন প্রোডাকশনের দায়িত্বে ছিল রুদ্রনীলের সংস্থা। সেই সিরিজের টেকনিশিয়ানদের মজুরি বকেয়া রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো। দু’বছর ধরে এই টাকা বাকি বলে অভিযোগ।

ফেডারেশন সভাপতি বলেন, “রুদ্রনীল জানান, ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন বকেয়া টাকা দেবে। ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সরাসরি জানিয়েছে, রুদ্রনীল ঘোষের সংস্থা চুক্তিপত্রের একাধিক ‘ক্লজ’ ভেঙেছে। তাই টেকনিশিয়ানদের বকেয়া মেটানোর দায় ক্যামেলিয়ার নয়, ওয়ার্কশপ প্রোডাকশনের।”

এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করায় রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “প্রযোজনা সংস্থা ক্যামেলিয়া একাধিকবার টাকা দেওয়ার কথা বলেও ব্যর্থ হয়েছে। আজ যে কথা উঠছে, সেই মর্মে অভিযোগ করে তাঁরা আমার সংস্থাকে কোনো মেইল করেননি কেন? একটা প্রজেক্ট ৭০ শতাংশ শুট হয়েছে আর আমার সংস্থাকে তাঁরা ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন যেখানে তাঁদের ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। আমি নিজে ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের কাছ থেকে ৩০ লক্ষের বেশি টাকা পাই। সংস্থা যেদিন আমাকে টাকা দেবে, আমি পরের দিনই আমার টেকনিশিয়ান, শিল্পী ও ভেন্ডার ভাই-বোন, বন্ধুদের টাকা মিটিয়ে দেব। ফেডারেশনের ২ জানুয়ারি, ২০২৪ এর মেইলের জবাবে আমি ৪ জানুয়ারি সমস্ত তথ্য দিয়ে মেইল করার পরেও স্বরূপ বাবু মিটিং করালেন না কেন? তবে কি টেকনিশিয়ান পেমেন্ট মেটানোটা তাঁর উদ্দেশ্য নয়? আমি ফেডারেশন সভাপতিকে আগেও অনুরোধ করেছি, আবার করছি…টেকনিশিয়ানদের স্বার্থে প্রয়োজন হলে ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে আমি ক্যামেলিয়ার সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসতেও রাজি আছি। আমিও চাই, টেকনিশিয়ানদের কষ্টার্জিত অর্থ তাঁরা পান।”

রুদ্রনীলের প্রস্তাব মতো এই ত্রিপাক্ষিক মিটিং আয়োজন করতে চান কিনা জানতে চাইলে স্বরূপ বলেন, “এই বিষয়টা ফেডারেশনের আওতায় নয়। আমরা এই ইনফরমেশন রুদ্রনীলের কাছ থেকেই পেয়েছি। ইতিমধ্যেই ক্যামেলিয়ার পক্ষে নীলরতন দত্ত জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে ফেডারেশনের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া করার কিছু নেই। এক্ষেত্রে রুদ্রনীলের দায়িত্ব আমাকে বা নীলরতন দত্তকে ডাকা। আমি কেন ডাকব? রুদ্র যদি ফেডারেশনের অফিসে নীলরতন দত্তকে ডেকে একটা মিটিং করতে চায়, আমার তো বসতে কোনো অসুবিধে নেই। আমাদের ছোটবেলায় পড়া প্রবাদ, ‘দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা’। রুদ্রনীল বাবু খুব গুণী শিল্পী। খুব সুন্দর হেসে হেসে কথা বলেন। কিন্তু নিজে ১১ লক্ষ টাকা পেয়ে গেছেন আর টেকনিশিয়ানদের না দিয়ে সবটাই নিজে হজম করে নিয়েছেন, এটা একবারের জন্যও বললেন না।”

ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের চেয়ারম্যান নীলরতন দত্ত এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেন, “টেকনিশিয়ানদের পাশে আমি সবসময় আছি। প্রজেক্ট হোক আর না হোক, ক্যামেলিয়ার নামটা জড়িত রয়েছে যখন, টেকনিশিয়ানরা টাকা পাবেই। রুদ্রনীল একবার হাত তুলে বলে দিন যে তিনি পারছেন না…ক্যামেলিয়া কালকেই টাকাটা দিয়ে দেবে। ত্রিপাক্ষিক ভাবে আমি তখনই বসতে পারব যদি আমি আগে ফুটেজটা দেখতে পাই। ফুটেজ না দেখে আমি কিছুই বুঝতে পারব না। কোনো ভরসাতেই ফুটেজ না দেখে আমরা রুদ্রনীল বাবুকে আর টাকা দিতে পারব না। আমরা প্রজেক্ট টেকওভার করলে রুদ্রনীল বাবুকে লিখিত দিতে হবে যে তিনি তাঁর অংশের শুটিং এবং ডাবিং অভিনেতা হিসেবে শেষ করবেন।”

ফেডারেশন সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলনে ‘মাতঙ্গী’ সিরিজের সহ-পরিচালক সৌমিক চট্টোপাধ‌্যায়ের একটি অভিযোগের নথিও তুলে ধরেন। অভিযোগের তীর রুদ্রনীল ঘোষের দিকেই। ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি করা সৌমিকের অভিযোগের বয়ান অনুযায়ী, ‘মাতঙ্গী’র গল্পকার হিসেবে এক লক্ষ এবং সহ-পরিচালক হিসেবে ১৭ দিনের শুটিং ধরে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা তাঁর। ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই শুরু হয়ে অজানা কারণেই ১৪ দিন হয়ে বন্ধ হয় শুটিং। সাইনিং অ্যামাউন্ট ৫০ হাজার টাকা ধরলে সৌমিক নাকি এখনও পর্যন্ত কেবল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘এক্সক্লুসিভিটি ক্লজ’ থাকার ফলে তিনি অন্য কোনও শুটিংও করতে পারেননি এবং এরই মাঝে নিজের ওপেন হার্ট সার্জারির কারণে তাঁকে ৬ লক্ষ টাকা ধার করতেও হয়। বারবার বলা সত্ত্বেও সেই টাকা দেননি রুদ্রনীল, লিখেছেন সৌমিক।

সৌমিক চট্টোপাধ‌্যায়ের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে রুদ্রনীল বলেন, ‘সৌমিক বাবু কখন কী বলছেন সেটা বোঝা ভার। সিরিজের আরেক পরিচালক দীপাঞ্জন চন্দও সৌমিকের আচরণে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটা যে উনি কেন করছেন…জানি না।”

নীলরতন দত্ত এই প্রসঙ্গে জানান, “সৌমিক চট্টোপাধ‌্যায়ের সাইনিং অ্যামাউন্টটা আমরাই দিয়েছি। তারপরেও যতটুকু শুটিং হয়েছে সে অনুযায়ী আমরা পেমেন্ট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কন্ট্র্যাক্টে লেখা পুরো টাকাটাই চান। ফলে সেটা হয়নি। ইতিমধ্যে ‘মাতঙ্গী’ প্রজেক্টের অভিনেত্রী রনিতা দাস আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়ে রুদ্রনীলকে টাকা চান। তিনি না দেওয়ায় সেটা আমাদের কাছে আসে। সেই টাকা আমাদের দেওয়ার কথা নয় কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বুঝে আমরা তাঁকে টাকা দিই।”

নীলরতন দত্ত অভিযোগের সুরে আরও জানান, “ওয়ার্কশপ প্রোডাকশনের প্রফিট নিয়ে সিরিজের মোট বাজেট ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। শুধু কনটেন্ট বাজেট ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকার মতো। রুদ্রনীলকে ১১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে, রনিতাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বারবার চেয়েও আমরা কোনো ফুটেজ পাইনি।”

স্বরূপ সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানান, অঙ্কুশ আগরওয়াল ও প্রান্তিক গায়েন নামে দুই ব্যক্তি ফেডারেশনে রুদ্রনীলের নামে অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁদের থেকে প্রায় ১৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে শোধ করেননি অভিনেতা। রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের পদক্ষেপ দাবি করেছেন অঙ্কুশ – প্রান্তিক।

অঙ্কুশ – প্রান্তিকের অভিযোগ নিয়ে রুদ্রনীলের বক্তব্য, “ওঁরা মিথ্যে কথা বলছেন। ওঁদের অনেক টাকাই শোধ করা হয়েছে। ওঁদের দুজনকেই আমি এর মাঝে ২ লক্ষ টাকা করে পেমেন্ট করেছি। তবে এই বিষয়ে কিছু বলার অধিকারই ফেডারেশনের নেই। আমি কোন ফিনান্সারের কাছে টাকা নেব সেটা তো একেবারেই আমার ব্যাপার। আমার ফিনান্সারদের কিছু লোক যে প্ররোচিত করে স্বরূপ বাবুর কাছে নিয়ে গেছেন সেটাই সবথেকে হাস্যকর ঘটনা। ওঁরা স্বরূপ বিশ্বাসকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মনে করে তাঁর কাছে চলে গেলে রহস্যের বৃত্ত তৈরি হয় না? যে প্রযোজনা সংস্থার কাছ থেকে টাকা না আসায় টেকনিশিয়ানদের মজুরি দেওয়া যাচ্ছে না, সব জেনেও তাঁর সঙ্গেই বন্ধুত্ব রাখেন স্বরূপ বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, তাঁর থেকে উত্তরবঙ্গ রিলিফ ফান্ডে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং ফেডারেশনের বিজয়া সম্মিলনীতে টাকা খরচা করায় তাঁর প্রশস্তিও করেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

এই প্রসঙ্গে স্বরূপ বলেন, “যদি ফিনান্সারের বিষয়ে ফেডারেশন যুক্ত হওয়া হাস্যকর হয় তাহলে ক্যামেলিয়ার সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ফেডারেশনকে চাওয়াও রুদ্রনীল ঘোষের দ্বিচারিতা।”

নীলরতন দত্ত এই প্রসঙ্গে পরিষ্কার ভাবে জানান, “ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন স্বরূপ বিশ্বাসকে কোনো টাকা দেয়নি। স্বরূপ বাবুর উদ্যোগ উত্তরবঙ্গ ডিজাস্টার ফান্ডে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাতে যদি কথা হয় যে নীলরতন দত্ত স্বরূপ বিশ্বাসের বন্ধু, তাহলে স্টার জলসা, জি বাংলা, সান বাংলা সহ আরও ১৬ জন প্রযোজক যে টাকা দিয়েছেন, তাঁরাও বন্ধু। আর তাতে অসুবিধার কিছু তো নেই। ফেডারেশনের সভাপতি সব প্রযোজনা সংস্থার বন্ধু হবেন, সেটাই তো কাম্য। তিনি প্রযোজনা সংস্থার শত্রু হবেন, সেটা তো কাম্য নয়! আর বিজয়া সম্মিলনীতে টাকা দেওয়া হয়েছে, কী অসুবিধা? কোভিডের সময়েও তো দেওয়া হয়েছিল, তখন তো কথা ওঠেনি! আর যে টেকনিশিয়ানরা সারা বছর আমাদের পাশে আছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে কি আমাকে রুদ্রনীল ঘোষের অনুমতি নিতে হবে?”

‘মাতঙ্গী’র শুরুর কথা উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ ক্যামেলিয়া চেয়ারম্যান বলেন, “কোনো প্রযোজনা সংস্থাকে যখন চ্যানেলের তরফ থেকে লেটার অফ ইন্টেন্ট বা এলওআই দেওয়া হয় তখন একটা ক্রেডেনশিয়াল চেক করা হয়। তখনই ওয়ার্কশপ প্রোডাকশনকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে এরা কি পারবে এই শুটিংটা সম্পূর্ণ করতে? কারণ, অ্যাকাউন্টে অন্ততপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা থাকতে হয়, যেটা সেই অ্যাকাউন্টে ছিল না। তখন রুদ্রনীল ঘোষ মেইল করে জানান পুরো ফান্ড রেডি আছে, এলওআই পেলেই কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। কিন্তু পরে দেখা যায় যে সেটা একেবারেই ঠিক কথা নয়। অসমর্থিত সূত্রে খবর আসতে শুরু করে যে এই প্রজেক্টের জন্য বাজার থেকে টাকা তোলা হচ্ছ। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের একটা ভীতি তৈরি হয় যে শুটিংটা হবে তো!”

সূত্রানুযায়ী আরও খবর, রুদ্রনীল ঘোষ ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ‘ওয়ার্কশপ প্রোডাকশন অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা চালু করেন। একই বছরের ১৬ নভেম্বর হরিপদ মন্ডল এবং সৌরভ ঘোষ মিলে তৈরি করেন ‘বেঙ্গল আই মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রাইভেট লিমিটেড’। সৌরভ ঘোষ ‘ওয়ার্কশপ প্রোডাকশন’ সংস্থারও অন্যতম ডিরেক্টর। এই সংস্থা চালু রেখেই ২০১৮ সালের ২৮ মে সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর সঙ্গে তৈরি করেন ‘লালন ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড’।

রুদ্রনীল সম্পর্কে অভিযোগ, তিনি একসঙ্গে একাধিক সংস্থা চালিয়ে থাকেন। একজন অভিনেতার কী প্রয়োজন একাধিক সংস্থা খোলার? এটা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নয় তো বা ফিনান্সারদের টাকায় টেকনিশিয়ান পেমেন্ট না করে নিজের অন্য কোম্পানিতে সেই টাকা খাটাচ্ছেন কি? উঠছে প্রশ্ন।

এই প্রশ্নের উত্তরে রুদ্রনীল বলেন, “ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর সঙ্গে কোম্পানি খোলা হয়ে কবেই বন্ধ হয়ে গেছে! পরমব্রত যখন পাকাপাকি ভাবে আলাদা হয়ে গেল সেখানে কাউকে ইনকর্পোরেট করা হলে তাঁর নাম থেকে যায়। সেটা অনেকে শেয়ার করতে চান না। তাই নতুন কোম্পানি খোলা। তবে সেখানে কোনো কাজই হয়নি। আর সৌরভ ঘোষ আমার ভাই। তাঁর সঙ্গে কোম্পানি খুলতেই পারি। আর কেউ যদি দশটা কোম্পানিও খোলে, তাতে সমস্যা কী?”

তবে সরকারি নথি বলছে, ২০১৬ সালের অনেক আগেই পরমব্রত চট্টোপাধ‌্যায় তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ‘রোডশো ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড’ তৈরি করেন। সেটা ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এবং সেই সংস্থায় কোনোভাবেই যুক্ত ছিলেন না রুদ্রনীল ঘোষ।

ফেডারেশন সভাপতির টিপ্পনী সংযোজন, “আমাদের সমস্ত কলাকুশলী সত্যি হতবাক যে রুদ্রবাবু একাধিক কোম্পানির মালিক-ডিরেক্টর হওয়ার পরেও টেকনিশিয়ানদের মাত্র ৫ লক্ষ টাকার জন্য নীলরতন বাবুর কাছে হাত পাতছেন!”

Advertisement