এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে ২৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ১০টি আসন পেয়ে বিধায়ক হয়েছেন মুসলিম বিধায়করা। গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম মুসলিম বিধায়ককে নির্বাচিত করল বিহারের জনতা। ২০২৫-এর নির্বাচনে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক এনডিএ এবং বিরোধী মহাগঠবন্ধন দুই শিবিরই মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিল। এঁদের মধ্যেও বেশিরভাগ প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন।
২০২২-২৩ সালে বিহারের জনগণনা অনুযায়ী ১৩ কোটি ৭ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম প্রায় ১৭.৭ শতাংশ। যদিও বিধানসভায় সে রাজ্যের প্রধান সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নেই। এখানে লক্ষণীয় যে, বিজেতা ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এর সদস্য। জেডিইউ থেকে এ বার চার জন মুসলিমকে প্রার্থী করেছিল। তাঁদের মধ্যে মাত্র এক জন, নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য মহম্মদ জামা খান জয়ী হয়েছেন। কৈমুর জেলার চৈনপুর আসন থেকে গত বারে বিএসপির টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। এ বার দল পালটে জেডিইউতে যোগ দেন মহম্মদ জামা খান।
Advertisement
এনডিএ শিবিরের শরিক দল লোক জনশক্তি পার্টি এক জন মুসলিম প্রার্থী দিলেও তিনি পরাজিত হয়েছেন। পাশাপাশি, তেজস্বী যাদবে আরজেডি এবং তাঁর সহযোগী কংগ্রেসের দু’জন করে মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে ১৯ জন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। বিধানসভায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ছিল ৭.৮১ শতাংশ। তার আগে ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন ২৪ জন মুসলিম প্রার্থী। অর্থাৎ ৯.৮৭ শতাংশ। এ বার তা নেমে গিয়েছে ৫ শতাংশেরও নীচে!
Advertisement
Advertisement



