তিনদিন হয়েছে দিল্লিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় কেঁপে ওঠে দেশের রাজধানী। বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে আসছে নানা তথ্য। বিস্ফোরণে সন্দেহ করা হচ্ছে বিদেশি হ্যান্ডলারের যোগ রয়েছে। বিস্ফোরণে নিহত চিকিৎসক উমর উন নবির সঙ্গে ‘উকাসা’ সাঙ্কেতিক নাম থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। তুরস্কের এক হ্যান্ডলারের কাছ থেকে ওই নির্দেশ আসছিল বলে খবর।
তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, ‘উকাসা’ ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক উমর এবং তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল। মূলত জইশ-ই-মহম্মদ এবং অনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ, এই দুই জঙ্গি সংগঠনের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে উমরদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছিল ‘উকাসা’ তথা তুরস্কের হ্যান্ডলার। উমরদের সঙ্গে ‘সেশন’ নামে একটি শক্তিশালী ‘এনক্রিপ্টেড’ অ্যাপের মাধ্যমে ওই সাঙ্কেতিক নামে কথা চলত।
Advertisement
‘উকাসা’র অর্থ আরবিতে মাকড়সা বা মাকড়সার জাল। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এটি হ্যান্ডলারের আসল নাম নয়। পরিচয় গোপন রাখতেই সাঙ্কেতিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সূত্রের আরও দাবি, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে এই কোড ব্যবহার করে উমরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ‘উকাসা’ই দিল্লি জঙ্গি মডিউলের গতিবিধি, তাঁদের অর্থের জোগান দেয়। ২০২২ সালে উমর এবং তাঁর তিন সঙ্গী তুরস্ক গিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ‘উকাসা’ এবং উমরদের তুরস্ক যাত্রাকে জুড়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
আঙ্কারায় দু’সপ্তাহ ছিলেন উমরেরা। প্রথমে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছিল টেলিগ্রামের মাধ্যমে। পরে সিগন্যাল এবং সেশন নামে অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করা হত। তদন্ত সূত্রের দাবি, কী ভাবে স্লিপার সেলে নিয়োগ করতে হবে, কী ভাবে ডিজিটাল তথ্য লোপাট করতে হবে, সব বিষয়ে তাঁদের পরিচালনা করছিল ‘উকাসা’।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের যে ছক কষা হয়েছিল এবং সেই হামলার জন্য যে জঙ্গি মডিউল তৈরি করা হয়েছিল, তাতে ‘উকাসা’র বড় ভূমিকা রয়েছে। তদন্তকারীদের এক সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দারা ‘উকাসা’র ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এই হ্যান্ডলারের কোনও যোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ‘উকাসা’ –র পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement



