সোমবার ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো রাজধানী দিল্লি। বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জঙ্গি হানা ঘোষণা না করা হলেও গোটা দেশ জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। ঘটনার তদন্তের গতিপথ কিন্তু জঙ্গি হানার ইঙ্গিত করছে।
ঘটনার পর মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকের আগে অবশ্য ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএ-র হাতে। দায়িত্ব পাওয়ার পর তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে পড়েছে এনআইএ। এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এনআইয়ের আধিকারিকদের একটি দল।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বাসভবনে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি ডিরেক্টর, এনআইএ-র ডিজি, দিল্লির পুলিশ কমিশনার-সহ (জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশকর্তা যোগ দিয়েছিলেন ভার্চুয়ালি) অন্যান্য আধিকারিকরাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে এনআইয়ের হাতে তদন্তের দ্বায়ীত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।একাধিক রাজ্যের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যোগ পাওয়া যাওয়ার পরই এমন পদক্ষেপ। ঠিক একইরকম বৈঠকের আয়োজন করা হয় এদিন বিকেলেও।
Advertisement
কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার না করলেও দেশের গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে সূত্রের, হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল গাড়িটি। ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে তদন্তের যাবতীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করনে শীর্ষ নিরাপত্তা আধিকারিকরা। এরপর বিকেলের বৈঠকেও উপস্থিত থেকে তদন্তের সর্বশেষ আপডেটও তুলে ধরেন তাঁরা । উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ভুটান সফর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হুঙ্কার, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।
এদিকে বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়িটি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। কেনেন জনৈক সলমন। পরে তিনি গাড়িটি দিয়ে দেন দেবেন্দ্রকে। তবে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই।
পরে সেখান থেকে মালিকানা বদল হয় সোনুর কাছে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়ায় ফরিদাবাদের এক গাড়ি বিক্রেতার নামও জড়িয়ে গিয়েছে। ফরিদাবাদ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাদিম খান নামের ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই তারিকের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
Advertisement



