স্কুল জীবনে শিক্ষার্থীদের কর্মপথ নির্দেশিকা ও মানসিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২৫–২৬) দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিল সিবিএসই। সিবিএসই–র ইন্টিগ্রেটেড দপ্তরে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হল ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স ড্যাশবোর্ড’ এবং ‘কাউন্সেলিং হাব অ্যান্ড স্পোক স্কুল মডেল’। শিক্ষাজগতের নজরে এসেছে এই যুগান্তকারী উদ্যোগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিবিএসই চেয়ারম্যান রাহুল সিংহ বলেন, এই দুটি কর্মসূচি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০–এর লক্ষ্য ও নীতির বিন্যাসেই তৈরি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য এমন গাইডেন্স কাঠামো গড়ে তোলা, যা প্রযুক্তিনির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহজপ্রাপ্য ও টেকসই হবে। এই দুটি উদ্যোগ স্কুল ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি উপকার করবে।’ তিনি জানান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রকল্প আরও উন্নত করা হবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিবিএসই–র সচিব হিমাংশু গুপ্ত স্পষ্টভাবে জানান, স্কুলে সংগঠিত কর্মপথ সংক্রান্ত পরামর্শ এবং মানসিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। তাঁর মতে, দ্রুত পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পাঠ্যক্রমগত ও ভবিষ্যৎ কর্মজীবন–সংক্রান্ত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়ানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।
Advertisement
উদ্বোধনের পর একটি ওরিয়েন্টেশন–সহ ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স ড্যাশবোর্ড’–এর ব্যবহারবিধি, বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাগুলি বিশদে তুলে ধরেন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্কুল নেতৃত্ব— সব পক্ষ কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মের সুবিধা পাবে, তা ব্যাখ্যা করা হয়।
সিবিএসই–র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সন্যম ভারতদ্বাজ স্কুলস্তরে প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স ড্যাশবোর্ড শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও গবেষণার সহায়ক হবে। অন্যদিকে, ‘কাউন্সেলিং হাব অ্যান্ড স্পোক মডেল’ মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাকে আরও শক্তিশালী করবে।’ এই মডেলে দেশের বিভিন্ন ‘মেন্টর হাব স্কুল’ ছোট ছোট ‘স্পোক স্কুল’–এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহযোগিতামূলক পরামর্শ–ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
বোর্ডের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুন দুটি উদ্যোগ এনইপি–র ভাবনার উপর ভিত্তি করেই তৈরি। এর লক্ষ্য, স্কুলে ক্যারিয়ার গাইডেন্স ও মানসিক সুরক্ষার পরিকাঠামোকে আরও সবল করা এবং শিক্ষক, পরামর্শদাতা ও কল্যাণকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়ানো। সিবিএসই ইঙ্গিত দিয়েছে, দেশজুড়ে স্কুলগুলিতে এই মডেলগুলি প্রয়োগ হলে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে বড় পরিবর্তন দেখা যাবে।
Advertisement



