সল্টলেকের দত্তাবাদে সোনা ব্যবসায়ী স্বপন ক্যামিলার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। গত বৃহস্পতিবার নিউটাউনের যাত্রাগাছি থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিচয় জানার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। তদন্তে উঠে এলো রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মৃতের পরিবারের। অভিযোগ, ওই বিডিও’র নীল বাতির গাড়িতে করে সোনা ব্যবসায়ী ও তাঁর বাড়ির মালিককে অপহরণ করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের দাবি, জলপাইগুড়ির বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বাড়ি থেকে সোনা চুরি যায়। সেই চুরি যাওয়া সোনা বিক্রি করা হয় স্বপন ক্যামিলার দত্তাবাদের দোকানে। এরপরই বিডিও প্রশান্ত বর্মন ওই সোনা ব্যবসায়ীর দোকানে ও তাঁর দাঁতনের বাড়িতে হানা দেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার স্বপন ক্যামিলার দোকানে বিডিও হানা দেন বলে সূত্রের দাবি। এরপর তিনি ব্যবসায়ীর দাঁতনের বাড়িতে যান বলে দাবি স্বপনের পরিবারের।
Advertisement
এদিকে সোনা ব্যবসায়ী স্বপন ক্যামিলা এবং তাঁর মালিক গোবিন্দ বাগকে রাজগঞ্জের বিডিও তুলে নিয়ে যান বলে দাবি করা হয়েছে। একটি নীল বাতির গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু মালিক গোবিন্দ বাগ ফিরে এলেও ওই ব্যবসায়ী ফেরেননি। বৃহস্পতিবার স্বপনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিচয় সামনে আসতেই তদন্তে উঠে আসে বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নাম। এই ঘটনায় তাঁর যোগ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
Advertisement
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজগঞ্জের বিডিও। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর কোনও বাড়ি নেই এবং তিনি সরকারি কাজে দাঁতনে গিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কোনও যোগ নেই।
Advertisement



