কোয়েম্বাটুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ২০ বছরের কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। একেবারে সিনেমার ঢঙে গ্রেপ্তার করা হয় ৩ অভিযুক্তকে। মঙ্গলবার ভোরে থুডিয়ালুরের কাছে ভেল্লাকিনারে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করা হয়।
অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছিল পুলিশ। আর পুলিশ খুঁজছে বুঝেই সজাগ হয়ে যায় অভিযুক্তরা। কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চম্পট দেওয়ার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু তাতেও সুবিধা হল না। একেবারে অভিযুক্তদের পা লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে তাদের ঘায়েল করে পুলিশ। তারপর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
Advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে, চলছে চিকিৎসা। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কনস্টেবলও জখম হয়েছেন। তিনিও এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২রা নভেম্বর, রবিবার গভীর রাতে কোয়েম্বাটুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এক ২০ বছর বয়সী বেসরকারি কলেজের ছাত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছিল বিমানবন্দরের পেছনে বৃন্দাবন নগর– এসআইএইচএস কলোনি রোডের কাছে। এমবিএ ছাত্রী তার পুরুষ বন্ধুর সাথে গাড়িতে বসে কথা বলছিলেন। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত আনুমানিক ১১টা নাগাদ, বাইকে চেপে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে পাথর দিয়ে গাড়ির জানালা ভেঙে দরজা খুলে ফেলে। এরপর, দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি কলেজের কাছে নির্জন জায়গায় মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় নির্যাতিতার বন্ধুকেও। পুলিশ এসে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে এনকাউন্টার করে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Advertisement



