দীর্ঘ বিরতির পর ফের ভোটমুখী বিহারে পা রাখছেন রাহুল গান্ধী। প্রায় দু’মাস আগে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ সম্পন্ন করে কার্যত আর বিহারে যাননি কংগ্রেস নেতা। না ছিলেন জনসভায়, না দেখা গিয়েছিল দলের প্রচারে। এমনকি সোনিয়া ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মতো শীর্ষ নেতৃত্বও এতদিন প্রচার থেকে দূরে ছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, আরজেডির সঙ্গে আসনরফা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই কংগ্রেস নেতৃত্ব নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। তবে ভোটের প্রথম দফার ঠিক আগে হঠাৎ সক্রিয় হচ্ছে গোটা দল। ফলে রাজনীতির ময়দানে নতুন করে জোরালো হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, বুধবার থেকেই বিহারে প্রচারে নামছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য— সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা। একই দিনে মুজফফরপুর ও দ্বারভাঙায় নির্বাচনী জনসভা করবেন তাঁরা। সেই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। কংগ্রেসের আশা, এই ‘গান্ধী পরিবার প্রচার অভিযান’-এর মধ্য দিয়ে মহাগঠবন্ধন শিবির ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
Advertisement
বিহারে প্রথম দফার ভোট আগামী ৬ নভেম্বর। হাতে সময় মাত্র এক সপ্তাহ। তাই একসঙ্গে প্রচারে নামছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। তিনি মূলত দলিত অধ্যুষিত আসনগুলিতে সভা করবেন। অন্যদিকে, রাহুল করবেন প্রায় আটটি জনসভা, প্রিয়াঙ্কা সাতটি, আর সোনিয়া দু’-তিনটি সভায় যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রচার চালাচ্ছেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় শেষবার জনসভা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর প্রায় দু’মাস বিহারে ফেরেননি। দলের অন্দরেই তখন প্রশ্ন উঠেছিল, রাহুলের অনুপস্থিতিতে কি তবে বিহার নির্বাচনে কংগ্রেস আগ্রহ হারাচ্ছে? এবার গান্ধী পরিবারের একযোগে ময়দানে নামার সিদ্ধান্তে সেই প্রশ্নের উত্তর যেন মিলে গেল।
অন্যদিকে, বিজেপিও এখন সর্বশক্তি নিয়ে প্রচারে নামছে। আজ দলের ‘ম্যানিফেস্টো কমিটি’র বৈঠকে বিহার নির্বাচনের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই সপ্তাহেই বিহারে প্রচারে যাচ্ছেন। বিজেপি এবারে ১০১ আসনে লড়ছে, কংগ্রেস ৬০ আসনে। ভোটগ্রহণ হবে দুই দফায়— ৬ ও ১১ নভেম্বর। আর গণনা ১৪ নভেম্বর।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ও সোনিয়ার সক্রিয়তায় শেষ সপ্তাহের প্রচার কার্যত জমে উঠতে চলেছে। একদিকে বিজেপি-এনডিএ, অন্যদিকে মহাগঠবন্ধন— দুই শিবিরেরই এখন লক্ষ্য শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করা।
Advertisement



