আজ অনুষ্ঠিত হবে বিজেপির ভার্চুয়াল জনসভা। মঙ্গলবার ঠিক বেলা ১১ টায়। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে এই জনসভাটি। জনসভার মূল বক্তা অমিত শাহ । এছাড়াও বক্তব্য রাখলে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা যেমন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা প্রমুখ।
আজকের এই মহাসভা থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচন এবং তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ঠিক কি বক্তব্য রাখেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
Advertisement
করোনা পরবর্তী সময়ে সামাজিক জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বাদ পড়েনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রও। এই মুহূর্তে কোন মাঠে জনসভা করা এক কথায় অসম্ভব। তাই ভার্চুয়াল মঞ্চে জনসভা করতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যে ভার্চুয়াল মহাসভা করে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে বিজেপি। কিন্তু এই জনসভা আদপে কতটা সফল হবে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন বিস্তর।
Advertisement
যদিও বিজেপির তরফ থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই এই জনসভায় প্রচার চালানো হচ্ছে। সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, এটি একটি মহা জনসভা হবে। যেখান থেকে বিগত কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে বার্তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন, ভেঙে পড়েছে প্রশাসন। বাংলার মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে নির্বাচন করার জন্য সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেবেন অমিত শাহ এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি স্ক্রিন লাগিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখানো হবে এই ভার্চুয়াল জনসভা। প্রায় এক কোটি মানুষের এই সভার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও রাজ্য বিজেপির কর্মকর্তাদের মধ্যে দেড় হাজার জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে যারা এই জনসভায় যুক্ত হকে। গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের কথায় গোটা ভারতের আগ্রহই তৈরি হয়েছে এই জনসভাকে কেন্দ্র করে। এই জনসভাটি রেকর্ড তৈরি করবে বলেও দাবি করছেন তারা।
প্রসঙ্গত রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি তৈরি হওয়ার পরে এটাই প্রথম বড় রাজনৈতিক কর্মসুচি। স্বাভাবিকভাবেই এই কর্মসুচির সাফল্যে কোনো ত্রুটি রাখতে রাজি নয় বঙ্গ বিজেপি। যদিও বিজেপি ভার্চুয়াল মহাসড়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এগুলো শুধুমাত্র পাবলিসিটি স্টান্ট। সাধারণ মানুষকে ‘চমক’ দেওয়ার জন্যই টাকা খরচ করে এই সমস্ত স্টান্ট পলিসি গেরুয়া শিবিরের।
এদিকে করোনা এবং ঘূর্ণিঝড়ে আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়াজনীয় পদক্ষেপের দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে চিঠি দেন দিলীপ ঘোষ। এই চিঠিতে বিপর্যয় মোকাবিলায় একটি রোডম্যাপ প্রস্তাব রেখেছেন তিনি।
অমিত শাহ যখন ভাষণ দেবেন ঠিক তখনই অমিত শাহ দূর হঠো স্লোগান তুলে রাস্তায় ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদে সরব হবে সিপিএম কর্মীরা। রবিবার মহম্মদ সেলিম বলেছেন, এখনই সঠিক সময় আওয়াজ তোলার।
Advertisement



