হোয়াইট হাউস যখন পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে, ঠিক তখন রাশিয়া জানিয়ে দিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। রাশিয়ার এক সংবাদ সংস্থাকে এই কথা জানিয়েছেন সেখানকার এক কূটনীতিক। একই কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার উপবিদেশমন্ত্রী সারগেই রিয়াবকভ। তিনি বলেছেন, দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এ ক্ষেত্রে কোনও বড় বাধা নেই। এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএ।
রিয়াবকভের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। বড় কোনও বাধা আমি দেখতে পাচ্ছি না।’ গত বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে হাঙ্গেরিতে তারা মুখোমুখি আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস জানায়, বৈঠক ‘সাময়িকভাবে’ স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি এখনও হয়নি। তাই বৈঠক আপাতত হচ্ছে না।
Advertisement
রিয়াবকভ আরও বলেন, ‘আলাস্কার বৈঠকে পুতিন যেসব শর্ত দিয়েছিলেন, তা পূরণ হচ্ছে কি না সেটাই দেখা হচ্ছে। এটা যথেষ্ট কঠিন প্রক্রিয়া। তবে সেই কাজের জন্য কূটনীতিকরা রয়েছেন।’
Advertisement
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে তাড়াহুড়া করা উচিত নয়। এর জন্য নিবিড় প্রস্তুতির প্রয়োজন।’
গত বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে এবং ইউক্রেন ইস্যুতে তাঁরা হাঙ্গেরিতে মুখোমুখি আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। তবে ট্রাম্প এটাও বলেছেন, ‘আমি এমন কোনও বৈঠক করতে চাই না, যা সময় নষ্টের পর্যায়ে পড়ে।’
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সমাধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পরিকল্পিত হলেও, যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তা স্থগিত রয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেনে সামরিক সমন্বয় চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সবরকম চাপই শান্তির দিকে পরিচালিত করবে।’ তিনি জানিয়েছেন, পুতিন গত সপ্তাহে ট্রাম্পকে ফোন করেছেন, তবে কূটনৈতিক দিক কিছুটা স্থগিত রাখা হয়েছে।
Advertisement



