• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জীবনানন্দ দাশকে মিথ্যা অপবাদে আজীবন ভুগতে হয়েছে

প্রথম কাব্যেই পালকের মতো কবির পদবি ‘দাশগুপ্ত’র ‘গুপ্ত’ লুপ্ত হলেও তা একেবারেই বিলুপ্ত হয়নি। পরে দু’একটি কবিতায় তা প্রকাশ্যে এসেছিল।

ফাইল চিত্র

স্বপনকুমার মণ্ডল

কবি যে শুধু তাঁর জীবনচরিতেই নয়, স্বকীয় কবিতাতেও বিরলপ্রায়, তা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাতেই প্রকাশ করেছেন। সেখানে কবির নিন্দিত হয়েও নন্দিত, আবার নন্দিত হয়েও বিতর্কিত হওয়ার বহুমাত্রিক পরিচিতি উঠে আসতে পারে । শুধু তাই নয়, বিপুল জনপ্রিয়তা সেক্ষেত্রে যেমন বিতর্ককে আমন্ত্রণ জানায়, আবার অজনপ্রিয়তাও কবিখ্যাতিকে প্রান্তিক করে তোলে না, বরং জনবিমুখতায় সমীহ আদায় করার অবকাশ মেলে। সেদিক থেকে বিশ শতকের আধুনিক কবিকুলে সবচেয়ে নিন্দিত হয়ে নন্দিত ও বিতর্কিত কবি জীবনানন্দ দাশ (১৭/০২/১৮৯৯-২২/১০/১৯৫৪)। রবীন্দ্রোত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় তাঁর অবিসংবাদিত পরিচিতি নানাভাবেই প্রকাশমুখর। সেখানে বিতর্ককে সঙ্গে নিয়েই তাঁর কবিজীবনের পথচলা। সেদিক থেকে তাঁর কবিতার প্রতি বিরূপতা শুধু তাঁর কবিসত্তায় বিমুখতা নেমে আসেনি, কবি-পরিচিতিকেও ব্রাত্য করে তুলেছিল। অথচ কাজি নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) প্রায় সমবয়সী জীবনানন্দ দাশের ভাগ্যে বিদ্রোহী কবির মতো জনপ্রিয়তার ছিটেফোঁটা জোটেনি। সেখানে সজনীকান্ত দাশের লেখনীর আঁচড়ে তাঁকে কাব্যজীবনে সূচনাপর্বেই শুধু মানসিকভাবে ক্ষতবিক্ষত হতে হয়নি, দুর্বিষহ জীবনের শিকার হতে হয়েছে।

Advertisement

জীবনানন্দের প্রথম কাব্য ‘ঝরাপালক’ প্রকাশিত হয় ১৯২৭-এ(১৩৩৪-এর ১০ আশ্বিন)। প্রথম কাব্যেই পালকের মতো কবির পদবি ‘দাশগুপ্ত’র ‘গুপ্ত’ লুপ্ত হলেও তা একেবারেই বিলুপ্ত হয়নি। পরে দু’একটি কবিতায় তা প্রকাশ্যে এসেছিল। অন্যদিকে, পরের বছরেই সজনীকান্ত তাঁর ‘শনিবারের চিঠি’র ‘সংবাদ সাহিত্য’ বিভাগে অশালীন ভাষায় জীবনানন্দের একের পর এক কবিতার উল্লেখ করে অসংখ্য কবিতার বিরূপ সমালোচনায় মেতে ওঠেন। সেখানেই শেষ নয়। সেই বছরেই ১৯২২ থেকে করে আসা সিটি কলেজের অধ্যাপনার চাকরিটিও চলে যায়। সেখানে সজনীকান্ত দাসের বিরূপ সমালোচনার সূত্রে কবির চাকরি থেকে বরখাস্তের কারণ হিসাবে তাঁর কবিতায় অশ্লীলতার অভিযোগটি এঁটে বসে। অথচ জীবনানন্দ দাশের চাকরি চলে যাওয়ার মূলে ছিল সিটি কলেজের ছাত্রসংখ্যার কমে যাওয়াজনিত আর্থিক সংকট। রামমোহন রায় হস্টেলে সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে কলেজে গোলমালের সূত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ায় ছাত্রসংখ্যা কমে যায়। সেই প্রেক্ষিতে কলেজের কনিষ্ঠ অধ্যাপক হিসাবে জীবনানন্দের চাকরিতে কোপ পড়ে। অন্যদিকে জীবনানন্দের যে-কবিতাটি সজনীকান্তের সমালোচনায় অশ্লীলতার অভিযোগটি প্রচার লাভ করে সেই ‘ক্যাম্পে’ কবিতাটি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত ‘পরিচয়’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় আরও বছর তিনেক পরে (শ্রাবণ ১৩৩৮)। কবিতা প্রকাশ নিয়ে ‘পরিচয়’ গোষ্ঠীর লেখকদের মধ্যেই বিতর্ক দেখা দেয়। জীবনানন্দের কাছে থেকে বিষ্ণু দে’ পত্রিকাটিতে প্রকাশের জন্য চেয়ে নিয়েছিলেন। সেই ‘ক্যাম্পে’র বিরুদ্ধে সজনীকান্তের শনির দৃষ্টি পড়ে। ১৯৩১-এর সেপ্টেম্বরে ‘শনিবারের চিঠি’তে তাঁর সেই কলঙ্কিত সমালোচনা প্রকাশিত হয়। সেখানে তীব্র ব্যঙ্গবিদ্রূপে জর্জরিত করে সজনীকান্ত যেভাবে কবিকে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন, তা শুধু তাঁর কবিতাকেই বিমুখতার সামনে ঠেলে দেয়নি, কবি-পরিচিতিকেও ব্রাত্য করে তুলেছে। আবার যখন কবি-প্রসিদ্ধিতে জীবনানন্দের মূল্যায়নের পরিসর ক্রমশ বিস্তৃতি লাভ করেছে, তখনও তাঁর কবি-পরিচয় ছকবন্দি হয়ে পড়েছে। সেখানেও তাঁর কবিসত্তায় বিভ্রান্ত প্রকৃতি অত্যন্ত সজীব। এজন্য তাঁকে ছকবন্দি মূল্যায়নে আবদ্ধ করার প্রয়াসের মধ্যেও তাঁর পরিচয় অবমূল্যায়নের শিকার হয়ে উঠেছে । শুধু তাই নয়, জীবনান্দের জনপ্রিয়তাও তাঁর কবিসত্তাকে বিতর্কের আধারে সীমাবদ্ধ করে তুলেছে।

Advertisement

আসলে সমালোচনায় ছকবন্দি প্রকৃতি অত্যন্ত সজীব এবং সবুজ। সেখানে ছকে ফেলে মূল্যায়নের প্রবণতা আপনাতেই প্রকাশমুখর। জীবনানন্দের কবি-পরিচিতিও সেই আবর্তে ছকবন্দি হয়ে পড়ে। তাঁর ক্ষেত্রে বুদ্ধদেব বসু, সঞ্জয় ভট্টাচার্য থেকে দীপ্তি ত্রিপাঠী প্রমুখের মূল্যায়নে সেই ধারা লক্ষণীয় । সেই জীবনানন্দের কবি-পরিচিতিতে ‘প্রকৃতির কবি’, ‘নির্জনতার কবি’ থেকে রূপসী বাংলার কবি প্রভৃতি অভিধা আন্তরিক হয়ে উঠেছে । শুধু তাই নয়, সে-সব মূল্যায়ন কবির বহুমুখী বিস্তারকেই বিশেষত করার প্রয়াসেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তাঁর কবিমানসকেও একমুখী করে তুলেছে। দীপ্তি ত্রিপাঠী তাঁর বহুচর্চিত ‘আধুনিক বাংলা কাব্যপরিচয়’ (প্রথম প্রকাশ ১৯৫৮)-এ কবি জীবনানন্দ দাশের আলোচনার সূচনাবাক্যেই জানানো হয়েছে, ‘এক বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত কবি জীবনানন্দ।’ তাঁর ‘বিভ্রান্ত’ মনের পরিচয়ে কবিমানসের অস্তিত্ব-সংকটের কথা উঠে এসেছে।

জীবনানন্দের সমসাময়িক কবিগণ নানাভাবে যেখানে কবিপ্রত্যয়কে খুঁজে পেয়েছিলেন, সেখানে তাঁর কবিসত্তায় কোনোরূপ প্রত্যয়হীন নীলকণ্ঠ প্রকৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমালোচক। সেদিক থেকে যুগের অস্থিরতায় বিমূঢ়তার অবকাশ থাকলেও কবিমানসের বিভ্রান্তির পরিচয় নিয়ে বিতর্ক বর্তমান। নানাভাবে তাঁর কবিতায় কবিকে অভিহিত করার প্রবণতা বিষয়ে কবিও আত্মসচেতন ছিলেন এবং এবিষয়ে তাঁর নিজস্ব বক্তব্যও তিনি ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’র (১৯৫৪) কবিকথায় প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘প্রায় সবই আংশিকভাবে সত্য—কোনো-কোনো কবিতা বা কাব্যের কোনো-কোনো অধ্যায় সম্বন্ধে খাটে; সমগ্র কাব্যের ব্যাখ্যা হিসাবে নয়।’ সেক্ষেত্রে পাঠক-সমালোচকের উপলব্ধি ও মীমাংসার তারতম্যকে স্বীকার করে নিয়েও তার সীমারেখা বিষয়েও কবির চেতাবনি উঠে এসেছে, ‘একটা সীমারেখা আছে এ-তারতম্যের; সেটা ছাড়িয়ে গেলে বড়ো সমালোচককে অবহিত হতে হয়।’ সেদিক থেকে সমালোচকদের ছকবন্দি জীবনানন্দ দাশই তাঁর পরিচয়ের অন্তরায় সৃষ্টি করেছে যা কবিকথার মধ্যেই প্রতীয়মান। তাঁকে ‘বিভ্রান্ত কবি’ বলে যেভাবে তাঁর সংবেদী কবিচিত্তকে দিশাহীনতায় অচল করে তোলা হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবেই কবির জনবিচ্ছিন্ন প্রকৃতি তাতে সবুজ হয়ে উঠেছে। সেখানে কবি হিসাবে জীবনানন্দের অসাধারণ দৃঢ়তা, আত্মিক সত্তায় আজীবন অবিচল থাকার বিষয়গুলিই উপেক্ষার অন্তরালে থেকে গেছে। আপাত নীরবে থাকা স্বভাবলাজুক মাটিতে আনত দৃষ্টির আত্মমগ্ন কবির নৈঃশব্দতায় তাঁর প্রতি নেতিবাচক চেতনার বিস্তারের পথগুলি তাতে সুগম হয়ে ওঠে। অথচ প্রভাব (‘ইম্প্রেশ’) বিস্তারের পথে না হেঁটে তাঁর প্রকাশের (‘এক্সপ্রেস’) সততায় আজীবন আত্মনিষ্ঠ থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর সমীহ আদায় করে চলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু নিন্দিত ‘ক্যাম্পে’ কবিতাটিকে কবি কাব্যধারা থেকে বাতিল করেননি, তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬)-তে সামিল করেছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে অশ্লীলতার অভিযোগটিকেও আমল দেননি কবি। কবিতায় ঘাইহরিণী দিয়ে হরিণ ধরার ফাঁদ প্রসঙ্গে কবির সেই হরিণীকে ‘হৃদয়ের বোন’-এর পরিচয়কে নিয়ে সজনীকান্তের অশ্লীল ব্যঙ্গবিদ্রুপে অতিষ্ঠ কবি লেখনীধারণও করেছিলেন। সেই প্রতিক্রিয়া তাঁর জীবদ্দশায় স্বভাবসুলভভাবে প্রকাশিত না হওয়ায় সেবিষয়ে কবির বক্তব্য প্রচার লাভ করেনি। পরবর্তীতে ‘শতভিষা’ (১৩৮১) পত্রিকাতে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়াটিতে জীবনানন্দের সুদৃঢ় কবিমনের পরিচয় ব্যক্ত হয়েছে। সেখানে ‘হৃদয়ের বোন’-এর ধারণার জন্য তিনি শেলীর ‘Soul’s sisters’-এর কাছে ঋণস্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, কবি ব্রাউনিং-এর ‘Muteykeh’ কবিতায় ঘোটকীকে দিনের শিশু, রাতের স্ত্রী মনে করার মধ্যে বাংলার বিশুদ্ধচারীদের অব্যক্ত ভাবনা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘ক্যাম্পে’র বিরূপ সমালোচনার তীব্রতা স্বয়ং বুদ্ধদেব বসুকেই বিভ্রান্ত করেছিল। এজন্য জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে মূলত তাঁর দৌলতে সিটি কলেজে জীবনানন্দের চাকরি যাওয়ার জন্য ‘ক্যাম্পে’র অশ্লীলতার অভিযোগটি প্রচার লাভ করে যা সর্বৈব মিথ্যা।

অন্যদিকে, জীবনানন্দের কবিপ্রসিদ্ধি আন্তরিক হয়ে ওঠে ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২) কাব্য থেকে। বিশেষ করে কবির ‘বনলতা সেন’ কবিতাটির জনপ্রিয়তা উল্লেখনীয়। এটি আবার তাঁর পরের কাব্য ‘মহাপৃথিবী’র(১৯৪৪) সূচনা কবিতা। এরপর জীবনানন্দের জীবদ্দশায় একটিই কাব্য প্রকাশিত হয়, ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪৮)। সেই কবিপ্রসিদ্ধির ধারাতেই তাঁর কবি-পরিচিতিতে জনবিমুখ ‘বিভ্রান্ত কবি’র প্রকৃতি স্বমহিমায় বিরাজমান। অথচ তাঁর ইতিহাসসচেতন কবিসত্তায় পার্থিব জীবন উপভোগের সচেতন প্রত্যাশা জেগে উঠেছে সেই রিক্ততা বোধের মধ্যেও। ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যের বহু আলোচিত কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’-এর শেষ উক্তি, ‘আমরা দু-জনে মিলে শূন্য ক’রে চ’লে যাবো জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।’ শুধু তাই নয়, জনগণের প্রতি যে জীবনানন্দের গভীর আস্থা ছিল, তাও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রবল ইতিহাসবোধেই । সেখানে ‘মানুষের মৃত্যু হ’লে তবু মানব / থেকে যায়’। শুধু তাই নয়, মানুষের পাশে মানুষের কথাও তাঁর কবিতায় মূর্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত কাব্য ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ (১৯৬১)-এর ‘হে হৃদয়ে’-কবির শুদ্ধ উচ্চারণ সেকথা প্রত্যয়সিদ্ধ করে তোলে : ‘ইতিহাস খুঁড়লেই রাশি-রাশি দুঃখের খনি/ ভেদ ক’রে শোনা যায় শুশ্রূষার মতো শত-শত/শত জলঝর্ণার ধ্বনি।’ সেক্ষেত্রে জীবনানন্দের ‘বিভ্রান্ত কবি’-পরিচিতিই বিভ্রান্তির অবকাশ তৈরি করেছে। তা যেমন তাঁর বহুমুখী কবিসত্তাকে একমুখীন করে তোলে, তেমনই পাঠকমানসে কবিজীবনের বহুধাবিস্তৃত ধারায় উত্তরণচেতনায় অন্তরায় সৃষ্টি করে। সেখানে তাঁর বিপুল চেতনাও উৎকর্ষবোধে বিতর্ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এজন্য জীবনানন্দের মৃত্যুর পর সবচেয়ে সাড়া জাগানো কাব্য ‘রূপসী বাংলা’র (১৯৫৭) সমাদরের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি মূল্যায়ন ধারা প্রকট হয়ে ওঠে। সেখানে অমলেন্দু বসু, প্রদ্যুম্ন মিত্র, আবদুল মান্নান সৈয়দ কাব্যের উৎকর্ষে মুগ্ধতা ব্যক্ত করলেও অরুণকুমার সরকার, আলোক সরকার ও অশোক মিত্র প্রমুখেরা তার বিরূপ সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। কবির জীবদ্দশায় প্রকাশিত না হওয়ায় তাঁর নেতিবাচক কারণও উঠে এসেছে তাতে। অথচ সেগুলিও কবির অপত্য সৃষ্টি, অপার মহিমারই ফসল। আবার কাব্য প্রকাশের প্রস্তুতির কথাও কবির খাতার পাতায় উঠে এসেছে। অর্থাৎ জনপ্রিয়তাও জীবনানন্দের ছকবন্দি কবি-পরিচিতিকে বিভ্রান্ত করে তুলেছে। অথচ তাঁর কবিচেতনায় কোনোরকম বিভ্রান্তির পরশ ছিল না। সেজন্য সজনীকান্ত দাস তাঁকে ‘শনিবারের চিঠি’তে ‘জীবানন্দ’ বলে তাঁকে উড়িয়ে দিতে চাইলেও জীবনানন্দেই তিনি রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতায় জুড়ে বসেছেন। সেখানে যে তাঁর সত্যকাম মূর্তি প্রকাশমাধুর্যে প্রতিমায় আদিগন্ত সমীহ আদায় করেই চলেছে।

Advertisement