বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যত্ কী? তা খতিয়ে দেখবে বিদেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গত বছরের জুলাই–আগস্টে আন্দোলন-গণবিক্ষোভের জেরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে এখন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস৷ ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় ভারত সরকারের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, সেই ইতিহাস মাথায় রেখেই এত বছর ধরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় ছিল।
কিন্তু গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও পরিবর্তন এসেছে অনেক ক্ষেত্রে, এমনই মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের৷ এরই জেরে প্রভাব পড়েছে দু’দেশের মধ্যে বহাল থাকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও। উল্লেখ্য, প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ ও প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন এই সংসদীয় কমিটির অন্যতম সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, লোকসভায় দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ।
Advertisement
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আয়োজিত হওয়ার কথা। তার আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যে ভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কী ভাবে দু’দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ মূল্যায়ন করে এবং তারপরে ভারত সরকারের কাছে কী রিপোর্ট পেশ করে, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহলের।
Advertisement
Advertisement



