• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিহার ভোটে কঠোর কমিশন: প্রলোভন ও পাচার রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিহারে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নষ্টের কোনও প্রচেষ্টাকে আমরা বরদাস্ত করব না।’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, দিল্লি, ১৭ অক্টোবর— আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইন প্রয়োগে যেন কোনও শৈথিল্য না থাকে, তা নিশ্চিত করতে কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার দিল্লিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির প্রধানদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন নগদ অর্থ, মাদক কিংবা জাল টাকার আদানপ্রদান রুখতে কমিশন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে।

এদিন দিল্লির নির্বাচন সদনে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু ও বিবেক জোশি। সিবিডিটি, সিবিআইসি, ইডি, ডিআরআই, আরবিআই, এনসিবি, আরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফ, এসএসবি, বিএসএএস, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ডাক বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরাও এই বৈঠকে যোগ দেন। অন্যদিকে, বিহারের মুখ্য সচিব, ডিজিপি, রাজ্য পুলিশ নোডাল অফিসার এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ভার্চুয়ালে বৈঠকে যুক্ত হন।

Advertisement

বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, বিহার নির্বাচনে নগদ ও অন্যান্য প্রলোভনের ব্যবহার রুখতে কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়। কমিশনের নির্দেশ– রাজ্য, জাতীয় ও জেলা স্তরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে এবং অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য দ্রুত ভাগ করতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি সংস্থাকে নির্বাচনী এলাকা অনুযায়ী ম্যাপিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, যাতে চোরাচালান ও অবৈধ লেনদেন আগেভাগে শনাক্ত করা যায়।

Advertisement

জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিহারে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নষ্টের কোনও প্রচেষ্টাকে আমরা বরদাস্ত করব না।’

বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থা কমিশনকে জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই ভোট চলাকালীন সম্ভাব্য প্রলোভন, নগদ লেনদেন ও পাচার রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ৬ অক্টোবর আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিহারে ৩৩ কোটি টাকারও বেশি নগদ, মদ, মাদক ও অন্য অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হবে ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। কমিশনের কড়া নির্দেশে প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা দপ্তরগুলিতে এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা যেমন বাড়ছে, তেমনই বেড়েছে কমিশনের নজরদারি ও প্রস্তুতির কড়াকড়ি।

Advertisement