পাঞ্জাবের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিংহ ভুল্লার বিরুদ্ধে বড়সড় ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। হরচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করতেন। সেই টাকার হিসেব নিজেই একটি লাল রঙের ডায়েরিতে লিখে রাখতেন। ডায়েরিটি এখন তদন্তের মূল চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে।
ফতেহগড় সাহিব জেলার ব্যবসায়ী আকাশ বাট্টার হরচরণ সিংহ ভুল্লারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আকাশ অভিযোগ করেন, হরচরণ তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। টাকা না দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। আকাশ এই অভিযোগ জানানোর পর সিবিআই তদন্তে নামে।
Advertisement
তদন্তে উঠে এসেছে, হরচরণ সরাসরি টাকা নিতেন না। তাঁর হয়ে টাকা তুলতেন কৃষ্ণানু নামের এক যুবক। সিবিআই সেই কৃষ্ণানুকে হাতেনাতে ধরে এবং তাঁর ফোন থেকে হরচরণকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করা হয়। সেই ফোনে হরচরণ টাকা নেওয়ার নির্দেশ দেন, যা রেকর্ড করা হয়। সেটিই ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়।
Advertisement
এরপর সিবিআই মোহালিতে হরচরণের অফিস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত পুলিশকর্তার বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। উদ্ধার হয় ৫ কোটি টাকা নগদ, দামি গয়না, বিলাসবহুল গাড়ি এবং একটি লাল রঙের ডায়েরি। ডায়েরিটিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও প্রোমোটারদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে। ডায়েরিতে আকাশ বাট্টারের নামও ছিল।
এই ডায়েরিকে কেন্দ্র করেই চলছে তদন্ত। সূত্রের খবর, ডায়েরিতে যাঁদের নাম আছে, তাঁদের একে একে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। দেখা হবে, তাঁরা হরচরণকে কী কারণে টাকা দিয়েছিলেন এবং আদৌ সেটা ঘুষ ছিল কিনা। এছাড়া, হরচরণের গ্যারাজ থেকে অডি ও মার্সিডিজ গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে সোনার গয়না, দামি ঘড়ি এবং ব্যাঙ্ক ভল্টের চাবি। ওই ভল্টে কী আছে, তা এখনও জানা যায়নি।
শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিচারক হরচরণকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। আরও বড় কিছু তথ্য সামনে আসতে পারে।
Advertisement



