• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

প্রহরশেষের রাঙা আলোয়

ধারাবাহিক উপন্যাস

কাল্পনিক চিত্র

তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

তমোনাশ
৩.
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো

Advertisement

পার্থিব সরোবর কখনও দেখেনি তমোনাশ, তার বিবরণ শুনেছে, একবার রবীন্দ্রসরোবরে এক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সরোবরের পাড়ে বসে নিচু হয়ে সরোবরের জল স্পর্শ করতে পেরেছিল— সরোবর সম্পর্কে তার ধারণা সেইটুকু৷ তবে সে নিত্যদিন দেখে অন্ধকারের সরোবর, প্রতি মুহূর্তে তার বসবাস সেই সরোবরের মধ্যে৷ তার জীবনে কোনও আলো নেই, শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার৷ সরোবর নয়, কখনও তার মনে হয়, অন্ধকারের সমুদ্র৷

Advertisement

একসমুদ্র অন্ধকারের মধ্যে তার আজন্ম বসবাস, জীবনযাপন৷ তার এই যাপনচিত্র অনুমানও করতে পারে না সেই মানুষ, যার দুটি চোখ আছে৷ সেই যাপনচিত্র কী সাংঘাতিক কঠিন, কতটা দুর্বিষহ তা জানে একজন জন্মান্ধ৷ সেই আলোহীনতার মধ্যে তার বেড়ে ওঠা, তার বড়ো হওয়া, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন৷

সে লেখাপড়া করেছে এক অন্ধ-স্কুলের বিস্তীর্ণ আলোহীনতার মধ্যে৷ ব্রেইল অক্ষরের পৃথিবীতে সে একটু একটু করে চিনেছে আঁধারমাখা বাস্তব জগৎ৷ হাতের আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে অক্ষর৷ অক্ষরে অক্ষর জোড়া লাগিয়ে শব্দের জগৎকে চেনা৷

তমোনাশের বাবা মারা গেছেন যখন তমোনাশের বয়স ছয় কিংবা সাত৷ অন্ধ ছেলেকে নিয়ে তার বাবা ছিলেন সদা বিষাদগ্রস্ত৷ তার মা লাবণ্য তখন ডুবে আছেন ঘোর নিরাশার মধ্যে, কী করে এখন বেঁচে থাকবেন এরকম একটি শিশুকে নিয়ে তা ভেবে দিশাহারা৷ সেই মুহূর্তে একটি প্রাইমারি স্কুলের কাজ পেতে সে-যাত্রায় বেঁচে গেলেন ছেলেকে নিয়ে৷ কিন্তু অন্ধ ছেলেকে নিয়ে জীবনধারণ কি কম কঠিন?

একটু বড়ো হতে তমোনাশের মা লাবণ্য ছেলেকে ভর্তি করে দিলেন এক ব্লাইন্ড স্কুলে৷ অল্পদিনেই তমোনাশ প্রমাণ করে দিল সে বেশ মেধাবী৷ ব্রেইল অক্ষরের সঙ্গে ভাব-ভালোবাসা হয়ে গেল খুব দ্রুত৷ একটি-একটি করে পার হয়ে গেল স্কুলের সব ক’টি ধাপ৷ ভর্তিও হল কলেজে৷

তমোনাশের সঙ্গে সুমিতাভর আলাপ এক পঁচিশে বৈশাখের অনুষ্ঠানে৷ সুমিতাভ লেখাপড়ায় তত ভালো না হলেও, সে রবীন্দ্রানুরাগী৷ শুধু রবীন্দ্রসাহিত্য পাঠ করে তা নয়, এলাকার এক সংগীত-শিক্ষক অমিত স্যারের কাছে রবীন্দ্রসংগীত শেখে নিয়মিত৷

তমোনাশ কারও কাছে গান শেখে না, তার মায়ের সেই সঙ্গতি নেই, যা দিয়ে তমোনাশকে গান শেখাবেন৷ অথচ রেডিওতে রবীন্দ্রসংগীত শুনে-শুনে, বাড়ির মধ্যে একা-একা নিজের মনে গান গায়, কখনও এলাকায় কোনও রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান হলে তার মাকে বলে, আমাকে একটু গান শুনতে নিয়ে যাবে?
তার মা-ই তার যষ্টি৷

একটি অন্ধ ছেলে রবীন্দ্রগান শুনতে এসেছে দেখে সুমিতাভ নিজে থেকে আলাপ করেছিল তমোনাশের সঙ্গে৷ দু’জনেই একই ইয়ারে পড়ে, তবে দুই ভিন্ন কলেজে৷

আলাপ ক্রমে পর্যবসিত হল বন্ধুত্বে৷ তমোনাশ হয়ে গেল তমো, সুমিতাভ হয়ে গেল সুমো৷ তমো–সুমোর বন্ধুত্ব গাঢ় হল ক্রমশ৷ প্রায়ই তমেনাশকে নিয়ে সুমিতাভ নানা অনুষ্ঠানে গান শুনতে যায়৷ তমোনাশ চোখে দেখে না, সুমিতাভ মৃদু কণ্ঠে তাকে ধারাবিবরণীর মতো শুনিয়ে যায় যা কিছু দেখে তার দুই চোখ৷ জন্মের পর থেকে তমোনাশ তার মায়ের চোখ দিয়ে চিনেছে পৃথিবী, এখন সুমিতাভর চোখ দিয়ে চিনছে, জানছে বাইরের জগৎটা৷
সুমিতাভর চোখই এখন তমোনাশের চোখ৷

অন্ধ স্কুলে পড়ে যখন তমোনাশ গ্রাজুয়েট হল, তার বন্ধু সুমিতাভ তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, তমো, আমার দুটো চোখ থেকেও প্রতি পরীক্ষায় যা নম্বর পাই, তোর দুটো চোখ না-থেকেও আমার চেয়ে সব পরীক্ষায় বেশি-বেশি নম্বর পেয়েছিস৷

তমোনাশের কণ্ঠে হতাশা, বলে, তাতে আর কী হবে। কেউ একজন অন্ধ ছেলেকে চাকরি দেবে?
লেখাপড়া শিখে কর্মজগতের সন্ধান করার পাশাপাশি সে খুঁজেছে সুরের জগৎ৷ সুমিতাভ তার গান মন দিয়ে শুনত আর বলত, তোর গান শুনলে মনটা ভালো হয়ে যায়৷
তমোনাশ বলত, সত্যি বলছিস?
—তুই যখন গাইতে থাকিস:
‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো / সেই তো তোমার আলো৷ / সকল দ্বন্দ্ববিরোধ মাঝে জাগ্রত সে ভালো / সেই তো তোমার ভালো৷’
তখন একদিকে মনের ভিতরটা জুড়িয়ে যায়, তেমনই কষ্ট হয় তোর জন্য৷
তমোনাশ চুপ করে থাকে৷
সুমিতাভ বলতে থাকে, লেখাপড়া শিখলেও একজন ব্লাইন্ডের পক্ষে জব খুঁজে পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন৷ বরং তুই গান শিখলে ভালো করতিস৷
তমোনাশ হাসত, বলত, তা কী করে হবে, কে শেখাবে আমাকে গান?
—আমাদের পাড়ায় একজন গানের টিচার আছেন, তাঁকে বলে দেখি৷
তখনই সুমিতাভ একদিন উচ্ছ্বসিত হয়ে এসে বলল, অমিত স্যার তোকে গান শেখাতে রাজি হয়েছেন৷
তমোনাশ ততটা খুশি না হয়ে বলল, মাসে কত বেতন দিতে হবে?
—কিছু দিতে হবে না৷ অমিত স্যার বলেছেন, ‘যদি তার গলা ভালো হয়, তা হলে কিছু দিতে হবে না৷ সপ্তাহে একদিন সকালের ব্যাচের সঙ্গে ও-ও গান শিখবে৷’
একজন ব্লাইন্ড ছেলে, যদি গলা ভালো হয়—
—‘যদি গলা ভালো হয়’ শুনে তমোনাশ বেশ হতোদ্যম হয়ে পড়েছিল, তার গলা কি সত্যিই ভালো? সুমিতাভ তার বন্ধু বলেই হয়তো ভালো বলছে৷

সুমিতাভর সুপারিশেই হোক, তার গলা ভালো বলেই হোক, তমোনাশের সেই শুরু রবীন্দ্রসংগীতের যাত্রায়৷ তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গেছে রবীন্দ্রনাথের গানে সে নিবেদিতপ্রাণ৷ বহু বছর ধরে সে ক্রমাগত গেয়ে চলেছে একের পর এক রবীন্দ্রগান৷ মাঝেমধ্যে এলাকার ফাংশনে তার ডাক পড়ে গাওয়ার জন্য, সে যথাসাধ্য প্রস্তুতি নিয়ে কখনও একটি কখনও একাধিক গান গেয়ে হাততালি পেয়েছে৷

কিছুদিন পরে সুমিতাভও উপলব্ধি করল শুধু লেখাপড়াতেই তমোনাশ তার চেয়ে ভালো তা নয়, গানেও তার ভরাট গলা শুনে প্রশংসা করতে শুরু করেছে সবাই৷ সুমিতাভ তাতেও খুশি৷ যার দুটো চোখ নেই, তার তো পৃথিবীতে শুধুু অন্ধকার আর অন্ধকার৷ তার কাছে যদি কিছু আলো পৌঁছোয় তার চেয়ে খুশির আর কী আছে৷
সুমিতাভ ক্রমে অপরিহার্য হয়ে ওঠে তমোনাশের জীবনে৷ সে একটি চাকরি জুটিয়ে ফেলেছে যেখানে দিনের সাত ঘন্টা কাটাতে হয় তাকে৷ বাকি সময় সে তমোনাশের সঙ্গে কাটায়৷ প্রায় তার সর্বক্ষণের সঙ্গী৷
মাঝেমধ্যে তমোনাশের গলায় ফুটে ওঠে অভিমানের স্বর। বলে, সুমো, গান গেয়ে কি কিছু হবে আমার? মা বলছিল কোথাও একটা চাকরি–টাকরি দেখ৷

সুমিতাভ তাকে আশ্বাস দেয়, বলে, অমিত স্যার বলেছেন, সব কাজেই ধৈর্য ধরতে হয়৷
এতদিন পরে অমিত স্যার তাকে বললেন, আমার এক পরিচিত সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘রবি-অনুরাগী’র কর্ণধার তার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে রবীন্দ্রসদনে একটা বড়ো অনুষ্ঠান করছে, নাম দিয়েছে ‘বসন্ত পঞ্চমী উৎসব’৷ সে চেয়েছিল, সুরঞ্জনা বসুর একক অনুষ্ঠান করতে, তাকে বলেছি, ‘তমেনাশকে অল্প সময়ের জন্য হলেও যদি কয়েকটা গান গাইতে দাও।’ সে রাজি হয়েছে, দু’ঘণ্টার স্লটে সুরঞ্জনা গাইবে দেড় ঘণ্টা, তুমি আধঘণ্টা৷

তমোনাশ ভাবতেও পারেনি অমিত স্যার তাকে এত বড়ো একটা সুযোগ দেবেন৷
অমিত স্যার আরও বললেন, শুধু বসন্তের গান গাইতে হবে৷
তমোনাশ বলল, কিন্তু আমাকে গাইতে বললেন, তোকে বললেন না, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে৷
সুমিতাভ উড়িয়ে দিল কথাটা, বলল, তমো, আমি একটা জব করি৷ তোর পক্ষে একটা জব জোগাড় করা খুব কঠিন৷ বরং গান গেয়ে তুই যদি নাম করিস, তার চেয়ে বড়ো পাওয়া আমার আর নেই৷

তমোনাশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থেকে বলল, তোর মতো বন্ধু পেয়েছি তা আমার কত জন্মের সৌভাগ্য।
তমোনাশ সেদিন থেকেই প্রবল উত্তেজনার মধ্যে আছে৷ বসন্ত পঞ্চমীতে রবীন্দ্রসদনের মতো বড়ো মঞ্চে গান গাইবে তা তমোনাশের কাছে এক বিশাল প্রাপ্তি৷ শুধু এই সংবাদটি তার কাছে বড়ো তাই নয়, গাইবে এ সময়ের বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত গায়িকা সুরঞ্জনা বসুর সঙ্গে৷

রবীন্দ্রনাথের বহু গান তার আয়ত্তে, কিন্তু কখনও বসন্তের গান বলে আলাদা কিছু ভাবেনি৷ রবীন্দ্রনাথের সব গানই তো তাকে চুম্বকের মতে টানে, তার মধ্যে বসন্তের গান—
সুমিতাভও খুবই আপ্লুত, সব বিষয়ে বরাবরই তাকে সাহায্য করে, এবারও গীতবিতানের পাতা উলটেপালটে কয়েকটা গান বেছে দিয়ে বলল, এই চারটে গান তুলে নে৷ আমার ধারণা, তোকে চারটের বেশি গান গাইতে দেবে না৷ সুরঞ্জনা বসুর একক হচ্ছিল, সেখানে তোকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷
তমোনাশকে পড়ে শোনাল চারটে গান :
‘কখন বসন্ত গেল এবার হল না গান’
‘বসন্ত তার গান লিখে যায় ধূলির ’পরে’
‘বসন্তে কি শুধু কেবল ফোটা ফুলের মেলা’
‘বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা’

তমোনাশের এই গানগুলি সব তোলা আছে তা নয়৷ বলল, সুমো, গানগুলো অমিত স্যারের কাছে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তুলে নিতে হবে, তারপর নিরন্তর অনুশীলন৷ কী জানি, পারব তো?
সুমিতাভ বলল, তুই পারবি৷ সেই বিশ্বাস আমার আছে৷
—আসলে আমার আশঙ্কা অন্য জায়গায়৷ সুরঞ্জনা বসুর পাশে বসে গাওয়া, তা ভেবেই তো আমি—
সুমিতাভ বলল, অমিত স্যার তো রোজ একবার করে বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে হলে তার প্রতিটি কলির অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে হবে৷
হঠাৎ কী মনে হতে সুমিতাভ বলল, আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে৷
—কী আইডিয়া?
—সুরঞ্জনা বসুর সঙ্গে তোর একটা ডুয়েট হলে বেশ হত, যেমন আছে সুচিত্রা মিত্রর সঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের৷
তমোনাশের কিছুক্ষণ অবিশ্বাসের নীরবতা, তারপর বলল, অসম্ভব৷ সুরঞ্জনা বসু কেন একজন অনামীর সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গাইবেন?
—হলে কিন্তু বেশ হত৷

তমোনাশ ঘাড় নেড়ে বলল, হেমন্ত–সুচিত্রা হলেন বাংলা গানের দুই মহারথী৷ তাঁদের দুজনকে আমার প্রণাম৷ ও সব আজগুবি ভাবনা না ভেবে বরং মন দিয়ে আমার গানগুলো ঠিকঠাক করে তোলা৷ শুনলাম রবীন্দ্রসদনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে৷ আমার গান ভালো না হলে শ্রোতারা সিটি দিয়ে তুলে দেবে আমাকে৷
সুমিতাভ খুব আশাবাদী, বলল, এই যে সুযোগটা পেয়েছিস, আমার খুব আশা, তোকে আবিষ্কার করবে বাংলার রবীন্দ্রসংগীতপ্রিয় মানুষ৷ কিন্তু যদি একটাও গান গাইতে পারিস, খুব জমে যাবে ফাংশন৷ আমি কথা বলে দেখছি সুরঞ্জনাদির সঙ্গে৷
—সে কী, তমোনাশ আর্তনাদ করে ওঠে, সুমো, উনি প্রত্যাখ্যান করলে তা হবে আমার কাছে খুব বেদনার৷ উনি আমাকে চেনেন না, চেনা দূরের কথা, আমার নামই শোনেননি৷ কী করে তা সম্ভব!
—উনি রাজি হলে সবই সম্ভব৷ আমি কথা বলে দেখি৷
—তুই কি চিনিস সুরঞ্জনা বসুকে?
—চিনি না, কিন্তু আমি ওঁর গানের একজন অনুরাগী৷ দেখি কিছু করা যায় কি না! সুমিতাভ বেরিয়ে গেল তমোনাশের অন্ধকার জগতে আরও একরাশ আঁধার ঢেলে দিয়ে৷
সুমিতাভ বেশ করিতকর্মা, পরদিন সকালে এল মুখে হাসি ফুটিয়ে, বলল, তমো, সুরঞ্জনাদি রাজি হয়েছেন, বললেন, খুব ভালো হয় তা হলে৷ কিছুটা অন্যরকম আবহাওয়া তৈরি হবে৷
তমোনাশের তখনও অবিশ্বাস কাটেনি, বলল, কিন্তু দ্বৈতকণ্ঠে গাইতে হলে একটু মহড়া তো দিতে হবে৷ হঠাৎ দু’জনে একসঙ্গে গাইতে শুরু করলে তা কি সুরে মিলবে?
—সুরঞ্জনাদি বললেন, অনুষ্ঠানের দু’দিন আগে তোর সঙ্গে উনি বসবেন রিহার্সাল দিতে৷
—কোথায় বসবেন?
—উনি বললেন, ও যখন চোখে দেখতে পায় না, আমাকেই যেতে হবে ওর কাছে৷ একটা সন্ধে বসলেই দু–তিনটে গান তুলে নিতে পারব৷
—আমার কাছে সুরঞ্জনা বসু আসবেন তমোনাশের চোখের দৃষ্টি থাকলে পলক ফেলতে ভুলে যেত৷ কিন্তু তার তো দৃষ্টি নেই৷

(ক্রমশ)

অলঙ্করণ: সোময়েত্রী চট্টোপাধ্যায়

Advertisement