‘দাগি’ শিক্ষাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের পর এবার শিক্ষাকর্মীদের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশের কথা জানাল এসএসসি। আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। শূন্যপদ ৮ হাজার ৪৭৭টি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ‘দাগি’ শিক্ষাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ জনের নাম সেই তালিকায় থাকবে বলে খবর। সুপ্রিম কোর্টের জমা পড়া তথ্য অনুসারে ২ হাজার ৪৮৩ জন প্রার্থীকে গ্রুপ সি এবং ৪ হাজার ৫৫০ জন প্রার্থীকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগপত্র দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর মধ্যে গ্রুপ ‘সি’তে ৪১৬ জন এবং গ্রুপ ‘ডি’তে ৬৬৯ জনের নাম এসএসসি সুপারিশ করেনি বলে জানা গেছে। তাঁদের নাম স্বাভাবিকভাবেই ‘দাগি’ তালিকায় থাকবে।
Advertisement
ওএমআর শিটের সঙ্গে নম্বরের হেরফেরের পরও গ্রুপ ‘সি’তে চাকরি পেয়েছিলেন ৭৮৩ জন। গ্রুপ ডি’তে এই সংখ্যাটা ১,৭৪১ জন। র্যাঙ্ক জাম্প করে প্যানেলে আনা হয়েছিল মোট ৩৬৯ জনকে। এর মধ্যে গ্রুপ ‘সি’-র রয়েছে ১৩২ এবং গ্রুপ ‘ডি’-র ২৩৭ জন। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল মোট ১১২০ জনকে। গ্রুপ ‘সি’-র ২৪৯ জন এবং গ্রুপ ‘ডি’-র ৩৭১ জন। মোট সংখ্যা হল ৪ হাজার ৯৮ জন।
Advertisement
একই ব্যক্তি একাধিক অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০-র আশপাশে। এসএসসি’র চূড়ান্ত স্ক্রুটিনির পর সেই সংখ্যায় বদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১১ হাজারের কিছু বেশি যোগ্য শিক্ষক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমি কোর্ট।
শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে সে রকম কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। সরকার অযোগ্য শিক্ষক এবং সমস্ত শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। মামলার জেরে তা আটকে যায়। শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে। যোগ্য শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হাতে কয়েক মাস সময় পাবেন। ততদিন অবশ্য তাঁদের কোনও বেতন মিলবে না।
ইতিমধ্যে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়ে গেছে। ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম এবং ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়। সে পরীক্ষা নিয়েও নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পরীক্ষা দু’টির ‘মডেল আনসার কি’ প্রকাশ করে কমিশন। ৯২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী ‘মডেল আনসার কি’ চ্যালেঞ্জ করেছেন বলে খবর। এসএসসি যাকে আদর্শ উত্তর বলছে সেটি ভুল বলে দাবি প্রার্থীদের।কমিশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি এই আবেদন খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে। কোনও প্রশ্নোত্তর ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
Advertisement



