প্রেমিকা হিন্দু আর প্রেমিক মুসলিম। লুকিয়েচুরিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক এগোচ্ছিল। চাকরি করে প্রেমিকার সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন প্রেমিক। আচমকা পরিবারের লোকজন জেনে যাওয়াতেই বিপত্তি। দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরই মাঝে প্রেমিকের চাকরির পরীক্ষাও খারাপ হয়। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবক। মর্মান্তিক এই খবর পাওয়ার পর আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকাও। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের। মৃতদের নাম – শাহবাজ হোসেন (২৪) ও দ্রোণী দাস (২২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহবাজ ছিলেন জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পাশের কোঠার গ্রামের দ্রোণী ওই কলেজেই পড়তেন। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনবছর ঠিকঠাক চললেও আচমকা দুই পরিবার সম্পর্কের কথা জেনে যায়। এই সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। দুই বাড়ির তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মেলামেশা। অন্যদিকে শাহবাজ ও দ্রোণী ঠিক করেছিলেন, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সম্পর্ককে পূর্ণতা দেবেন।
Advertisement
রবিবার সাব-ইনস্পেক্টর পদে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন শাহবাজ। যদিও সেই পরীক্ষা ভালো হয়নি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবক। এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে নবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই শাহবাজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে তাঁকে শেষ দেখা দেখতে চেয়েছিলেন দ্রোণী। পরিবারের সদস্যরা বাধা দেওয়ায় তিনিও সকলের অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। দু’টি ঘটনাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Advertisement
Advertisement



