মঙ্গলবার ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর হামাস অবশেষে পণবন্দি একমাত্র হিন্দু যুবক বিপিন যোশীর মৃতদেহ ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে হামাসের হাতে বন্দি হওয়া বিপিনের মৃতদেহ গভীর রাতে তেল আভিভে পৌঁছেছে। ইজরায়েল সেনার মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন জানান, বিপিনের সঙ্গে আরও চার বন্দির দেহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ নেপালে পাঠানোর আগে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ধনপ্রসাদ পণ্ডিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাজা শান্তিচুক্তির অধীনে বন্দিদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে। বিপিন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইজরায়েল গিয়েছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণের জন্য। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় বাঙ্কারে আশ্রয় নেন তিনি এবং বোমা ফেলে অন্যদের প্রাণ বাঁচান। এরপর হামাসের হাতে একমাত্র পণবন্দি হন তিনি।
Advertisement
ইজরায়েল সেনার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার শিফা হাসপাতালে বিপিনকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ভিডিওতে জীবিত অবস্থায় তাঁর শেষ মুহূর্ত ধরা পড়েছে। দুই বছর ধরে বিপিনের মুক্তির জন্য তাঁর পরিবার একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে শান্তি চুক্তির আওতায় তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ ফেরত পেল পরিবার।
Advertisement
একই সময়ে একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সাতজন প্যালেস্তিনীয়কে হামাস জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করছে। যদিও সংবাদ প্রতিদিন ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ভিডিও থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃতরা শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মিশরের শর্ম-আল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনে আমেরিকা ও মিশর যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেছেন। উপস্থিত ছিলেন ইজরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধি সহ ২০টিরও বেশি দেশের নেতারা। সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেসও যোগ দেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস ২০ জন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। পরবর্তীতে ১৯০০ প্যালেস্তিনীয়কে জেল থেকে মুক্তি দিচ্ছে ইজরায়েল। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পরও গাজায় সহিংসতা এবং আতঙ্কের ঘটনা বন্ধ হয়নি, যা নিয়ে এই অঞ্চলটির মধ্যে এখনও অস্থিরতা রয়েছে।
Advertisement



