• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

দেড় কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি, গ্রেপ্তার বর্ধমান পৌরসভার কর্মী

মহারাষ্ট্রের হিঙ্গনঘাট থানায় রুজু হওয়া মামলার ভিত্তিতেই মহারাষ্ট্র পুলিশ ও বর্ধমান থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতীকী চিত্র

১৩ মাস আগে বর্ধমান পৌরসভার তহবিল থেকে দুটি চেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। পরে সেই টাকা তিন পর্যায়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ফের পৌরসভার কাছে ফিরে আসে। কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার করা হলো বর্ধমান পৌরসভার এক কর্মীকে। জানা গিয়েছে, চেক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বর্ধমান পৌরসভার অ্যাকাউন্ট্যান্ট সমীররঞ্জন মুখার্জিকে। যদিও পৌরসভার তরফে জানানো হয় যে, ওই কর্মী ওই ঘটনায় যুক্ত নন।

মহারাষ্ট্রের হিঙ্গনঘাট থানায় রুজু হওয়া মামলার ভিত্তিতেই মহারাষ্ট্র পুলিশ ও বর্ধমান থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের ভারপ্রাপ্ত সিজিএম তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে পাঠান। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে এক জুয়েলারির কাছে সোনা কেনার জন্য দু-দুটি চেকের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেখানকার ব্যাঙ্কেই চেক দুটি জমা পড়ে। চেক যায় বর্ধমান পৌরসভার নামে। প্রথম ধাপে ৪৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকার একটি চেক ভাঙানো হয়।

Advertisement

দ্বিতীয় ধাপে জমা দেওয়া হয় ৯৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক। প্রথমটির টাকা উঠে গেলেও সন্দেহ হওয়ায় দ্বিতীয় চেক আটকে রেখে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে পৌরসভার কাছে জানতে চাওয়া হয়। পৌরসভা জানিয়ে দেয়, তারা ওই অঙ্কের টাকা কাউকে দেয়নি। ওই নম্বরের চেক পৌরসভার কাছে আছে। তাতেই জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রে ২০২৪ সালে দুটি মামলা রুজু হয়। তারপর নাগপুর থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তে সমীররঞ্জন মুখার্জি নামে বর্ধমান পৌরসভার এক কর্মীর নাম জড়ায় আরও কয়েকজন অভিযুক্তের সঙ্গে।

Advertisement

তবে বর্ধমান পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযুক্ত কর্মীকে ভুলভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকারের বক্তব্য, মামলায় উল্লেখিত চেক নম্বরগুলো এখনও পৌরসভার কাছে অক্ষত রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, আসল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে আড়াল করতেই এই ঘটনার দায় চাপানো হচ্ছে।

অন্যদিকে অভিযুক্তদের উকিল পার্থ হাটি ও স্বরাজ ঘোষ বলেন, সমীররঞ্জনের ফোন নম্বর ক্লোন করে জালিয়াতি চালানো হয়েছে। পৌরসভার কেউ এতে জড়িত নন।

Advertisement