ভূস্বর্গে মরশুমের প্রথম তুষারপাত। উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার গুলমার্গ সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। তুষার পড়ায় উপত্যকার তাপমাত্রা একধাক্কায় নেমে গিয়েছে। সাদা বরফ মানুষের মনে খুশির রং ছড়িয়েছে। গত এপ্রিলে পহেলগামে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মারা যান একজন স্থানীয়-সহ ২৫ জন পর্যটক। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপত্যকায়। কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রায় মাসখানেক পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। তারপরও উপত্যকায় পর্যটন ব্যবসা ধুঁকতে থাকে। ফলে প্রথম তুষারপাতে আশার আলো দেখছেন হোটেল মালিক থেকে পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত সকলে।
পর্যটন ব্যবসায় যুক্তরা শুক্রবার জানিয়েছেন, এতো আগে তুষার পড়াটা খুবই আশাব্যঞ্জক। এতে ভ্রমণার্থীদের ভিতর উৎসাহ বাড়বে। সাত তাড়াতাড়ি শীতকাল চলে এলে পর্যটকের ঢল বাড়বে। সেই আশায় বুক বেঁধেছেন ভূ-স্বর্গের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, এই তুষারপাতেই আবার বুকিং শুরু হয়ে যাবে। এবার বিপুল সংখ্যায় পর্যটকের পায়ের চিহ্ন পড়বে। কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার অন্ধকার কাটিয়ে দিল এই তুষারপাত।
Advertisement
প্রতিবছরই বরফে ঢাকা কাশ্মীর দেখতে প্রচুর সংখ্যাক পর্যটক ভিড় জমায়। এর মধ্যে বিদেশির সংখ্যাই বেশি। তাই ব্যবসা চালু হওয়ার আগেই এই খবর নতুন অধ্যায় শুরু করবে বলে জানান এক হোটেল মালিক। পহেলগামে হানার পরেই সরকার বেতাব ও আরু ভ্যালি বন্ধ করে দেয়। পুজোর আগে পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হলেও তেমন একটা পসরা হয়নি।
Advertisement
শ্রীনগরের এক ট্যুর অপারেটর জানিয়েছেন, গুলমার্গে বরফ পড়ার খবর ছেয়ে গিয়েছে। এটা একটা বিরাট খুশির খবর। কাশ্মীরের অন্যতম আকর্ষণই হল স্কি, স্নো বোর্ডিং ও শীতকালীন ট্রেকিং। এই খবরে তা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর আগামী কয়েকদিন উপত্যকায় বৃষ্টি, তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশেষত উঁচু পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ভাল পরিমাণে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা আটকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা জম্মু-কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে আসছে। তার ফলে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৪-৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যে ৫ অক্টোবরের মধ্যরাত থেকে ৭ তারিখ সকাল পর্যন্ত অবস্থা চরমে থাকবে।
Advertisement



