মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কির্ক হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়। সন্দেহভাজন আততায়ীর পালানোর ভিডিও প্রকাশ করল এফবিআই। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছাদের উপর দিয়ে দৌড়তে দৌড়তে বাড়ির কিনারায় পৌঁছে যান আততায়ী। সেখান থেকে ঝাঁপ দেন একটি জালের উপর। জাল বেয়ে নেমে পড়েই মাঠে ছুট দেন তিনি। মাঠ পার হয়ে রাস্তা টপকে ঢুকে পড়েন পাশের জঙ্গলে। এদিকে এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, অভিযুক্ত শ্যুটারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এফবিআই জানিয়েছে, ছাদ থেকে সংগৃহীত প্রমাণের সঙ্গে মিলেছে আততায়ীর পায়ের ছাপ, হাতের ছাপ এবং আঙুলের ছাপ। তদন্তকারীদের দাবি, তিনি পরিকল্পিত ভাবে পালানোর পথ তৈরি করে রেখেছিলেন। খোঁজ পেতে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ এবং একটি ছবি। একই সঙ্গে কেউ আততায়ীর সন্ধান দিতে পারলে তাঁকে এক লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে এফবিআই।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে (স্থানীয় সময়) ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ৩১ বছরের রক্ষণশীল নেতা চার্লিকে। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনাসভায় উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। সেখানে আচমকা এক আততায়ীর গুলিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাস্থলের পাশেই একটি বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
সম্প্রতি চার্লি কির্ক ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ নামে একাধিক রাজ্যে সফর শুরু করেছিলেন। তিনি কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সফরেরই একটি পর্বে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
প্রসঙ্গত, চার্লি কির্ক ছিলেন মার্কিন ডানপন্থী রাজনীতির এক অন্যতম মুখ। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
Advertisement



