• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্য, সেনার গুলিতে খতম ‘সমন্দর চাচা’

কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলির হয়ে কাজ করতেন তিনি। তাঁকে ‘হিউম্যান জিপিএস’ বা ‘মানবরূপী জিপিএস’ বলা হত।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কাশ্মীরের গুরেজ উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন দুই জঙ্গি। তাঁদের মধ্যে একজন হিজবুল মুজাহিদিনের প্রাক্তন সদস্য বাগু খান, যিনি ‘সমন্দর চাচা’ নামে পরিচিত ছিলেন। বাগু খানের মৃত্যু নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বাগু খান ১৯৯৫ সাল থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বসবাস করছিলেন এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলির হয়ে কাজ করতেন তিনি। বাগুকে ‘হিউম্যান জিপিএস’ বা ‘মানবরূপী জিপিএস’ বলা হত কারণ তিনি গুরেজ উপত্যকার দুর্গম অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং গোপন অনুপ্রবেশের পথগুলি চিনতেন।

গুরেজ অঞ্চলের জঙ্গলে কোথায়, কোন পথে অনুপ্রবেশ করা সম্ভব, এইসব তথ্য ছিল ‘সমন্দর চাচা’র কাছে। পাকিস্তান থেকে ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করার জন্য বাগু খানের ভূমিকা অনেক বছর ধরে বাহিনীর র‍্যাডারে ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে গুরেজ এলাকা দিয়ে ১০০-এর বেশি অনুপ্রবেশে তিনি সাহায্য করেছিলেন, যার অধিকাংশই সফল ছিল। গত শনিবার গুরেজ উপত্যকায় নৌসেরা নার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়, যার ফলস্বরূপ বাগু খান সহ আরও এক জঙ্গি নিহত হন। একটি অভিযানে তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।

Advertisement

বাগুর মৃত্যুর পর নিরাপত্তা বাহিনী বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করছে কারণ তিনি ছিলেন কাশ্মীরে সক্রিয় থাকা এক অতি গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি। নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, বাগু খানের মৃত্যু একটি বড় সাফল্য এবং এটি কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। তাঁর মৃত্যু উগ্রপন্থীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

Advertisement