• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ওড়িশায় স্কুলে আটকে বিপত্তি, জানলার গরাদে মাথা আটকে গুরুতর আহত ছাত্রী

এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির দাবি তুলেছেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ছুটির পর স্কুল ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু রয়ে গিয়েছিল এক ছাত্রী। অজান্তেই স্কুলের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যায় দায়িত্বে থাকা ছাত্ররা। এরপর জানলার গরাদের ফাঁক দিয়ে বেরোতে গিয়েই আটকে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর মাথা। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেওনঝর জেলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছরের শিশুটি ছুটির পরে ক্লাসরুমের বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ফটক বন্ধ করে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পর অন্ধকারে একা হয়ে যায় সে। বাড়িতে না ফেরায় সন্ধ্যার পর পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা খোঁজ শুরু করলেও স্কুলের ভিতরে আটকে থাকার বিষয়টি কারও নজরে আসেনি।

Advertisement

রাতভর আটকে থেকে আতঙ্কিত হয়ে জানলার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল শিশুটি। কিন্তু মাথা আটকে গিয়ে গুরুতর জখম হয়। পরের দিন সকালে গ্রামবাসীরা স্কুলে গিয়ে ওই অবস্থায় তাকে দেখতে পান এবং তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা গুরুতর হলেও বর্তমানে স্থিতিশীল।

Advertisement

এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির দাবি তুলেছেন। স্থানীয় এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, সাধারণত দরজা বন্ধের দায়িত্বে থাকা রাঁধুনি ওই দিন বৃষ্টির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি যে পিছনের বেঞ্চে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি ঘুমিয়ে পড়েছে।

ঘটনার পর থেকে স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং রক্ষীর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement