• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতকে খোঁচা ট্রাম্পের উপদেষ্টার

রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ফের আমেরিকার কড়া সমালোচনার মুখে ভারত। এবার সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা।

রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ফের আমেরিকার কড়া সমালোচনার মুখে ভারত। এবার সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনে তা পরিশোধনের পর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিকে বিক্রি করছে ভারত, যা আদতে এক প্রকার ‘লাভজনক ব্যবসা’। শুধু তাই নয়, সেই অর্থেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে আরও অস্ত্র কিনছে রাশিয়া, দাবি তাঁর।

নাভারোর সাফ বক্তব্য, ‘ভারতের ওই তেলের আদৌ প্রয়োজন নেই। রাশিয়ার তেল ভারতের জন্য অত্যাবশ্যক, এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এটি কেবলমাত্র পরিশোধন করে রপ্তানির একটি উপায়।’ পাশাপাশি নয়াদিল্লির আমদানি শুল্ক নীতিরও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ভারত হল শুল্কের জমিদার। ওদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। ফলে, আমেরিকার রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা ওদের থেকে অনেক বেশি পণ্য আমদানি করছি। এই বাণিজ্য ঘাটতি মেনে নেওয়া যায় না।’

Advertisement

এই প্রসঙ্গে নাভারো জানান, ২৭ আগস্টের পর আর সময় দেওয়া হবে না। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে আমেরিকা। তাঁর মতে, ভারতের তেল আমদানির সিদ্ধান্তেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি। তবে সমালোচনার মধ্যেও ভারতের ভূমিকাকে সম্পূর্ণ খাটো করেননি নাভারো। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি ভারতকে ভালবাসি। মোদী একজন অসাধারণ নেতা। তবে ভারতের উচিত বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের ভূমিকা নতুন করে ভাবা। কারণ এখন যে পথে তারা এগোচ্ছে, তা শান্তির পরিবেশ তৈরি না করে বরং যুদ্ধকে আরও সমর্থন জোগাচ্ছে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকা ও ইউরোপ রাশিয়ার উপরে একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত দুই সংস্থা – ইন্ডিয়ান অয়েল এবং ভারত পেট্রোলিয়াম, আবার রাশিয়া থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের জন্য তেল আমদানি শুরু করেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাই মাসে এই দুই সংস্থা তেল আমদানি বন্ধ রেখেছিল। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানোয় তারা ফের তেল আমদানিতে রাজি হয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কখনও তেল আমদানি বন্ধের কথা স্বীকার করা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেও রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে ভারতের এই কৌশলগত অবস্থান বিশ্ব-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।

Advertisement