• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

অমিত শাহের নেতৃত্বে সমবায় সমিতিগুলির জাতীয় স্তরের তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে

যুব সমাজকে সমবায় আন্দোলনে যুক্ত করতে দেশের প্রথম ত্রিভুবন সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেখানে সমবায় ব্যবস্থাপনা, উদ্যোক্তা, ডিজিটাল শাসনসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে দেশের সমবায় সমিতিগুলির জাতীয় স্তরের একটি বিস্তৃত তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে দেশের প্রতিটি সমবায় সমিতির তথ্য এক জায়গায় পাওয়া যাবে এবং ভবিষ্যতে পরিকল্পনা, নীতি নির্ধারণ ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বড় সুবিধা হবে। নতুন সহযোগিতা মন্ত্রক গঠনের পর গত চার বছরে এই খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুজরাট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী দিলীপ সাঙ্ঘানি।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে সমবায় খাতে ৬০টিরও বেশি বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আধুনিক তথ্যভাণ্ডার তৈরি, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমবায়ের ভূমিকা শক্তিশালী করা, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, কৃষিজ উৎপাদন, ক্ষুদ্রঋণ ও আবাসন সমবায়কে নতুনভাবে সংগঠিত করা। এছাড়া উল্লেখযোগ্য হল— বহু-রাজ্য সমবায় আইন সংশোধন, সমবায় নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ গঠন, এবং প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি-এর কম্পিউটারাইজেশন সম্পূর্ণ করা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “সহকার থেকে সমৃদ্ধি” স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ গত চার বছরে সমবায় খাতে একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে সমবায় আন্দোলনের দুর্বলতা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে একাধিক সংস্কার চালু করা হয়েছে, যা বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের সমবায় আন্দোলনের দ্বিতীয় বিপ্লব বললেও অত্যুক্তি হবে না।

Advertisement

গুজরাট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী দিলীপ সাঙ্ঘানি জানিয়েছেন, নতুন সহযোগিতা মন্ত্রক গঠনের পর গত চার বছরে সমবায় খাত এক অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। আগে যেখানে সমবায় খাতের উন্নয়ন সীমিত ছিল, এখন তা গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করছে।

এছাড়া, সমবায় সমিতিগুলির জন্য নতুন নীতি প্রণয়ন, আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সদস্যদের সরাসরি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে সমবায় আন্দোলনকে দেশের গ্রামীণ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে।

কৃষি খাতে সমবায়ের ভূমিকা বাড়াতে সরকার আগামী দিনে অতিরিক্ত ২ লক্ষ নতুন পিএসিএস গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এছাড়া, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে গুদাম প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সমবায় সমিতিগুলিকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) ফসল সংগ্রহের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনএএফইডি ও এনসিসিএফ ডাল এবং তেলবীজের এমএসপি সংগ্রহ শুরু করেছে।

যুব সমাজকে সমবায় আন্দোলনে যুক্ত করতে দেশের প্রথম ত্রিভুবন সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেখানে সমবায় ব্যবস্থাপনা, উদ্যোক্তা, ডিজিটাল শাসনসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

চিনি শিল্প ও সমবায় ব্যাংকের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সংস্কার করা হয়েছে। সমবায় ব্যাংক এখন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মতোই শাখা খোলার অনুমতি পাচ্ছে। এদিকে, ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এনসিডিসি এ বছর প্রায় ১.৭৫ লক্ষ কোটি ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।

বর্তমানে দেশে ৮.৫ লক্ষেরও বেশি সমবায় সমিতি রয়েছে এবং প্রায় ২৯ কোটি নাগরিক এর সঙ্গে যুক্ত। কৃষি উৎপাদন, আবাসন, দুগ্ধ, মৎস্য ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমবায় খাত এখন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।

এনসিইউআই ও ইফকোর চেয়ারম্যান দিলীপ সাঙ্ঘানি বলেন, ‘অমিত শাহর নেতৃত্বে সমবায় খাতে যে রকম পরিবর্তন এসেছে, সেটিকে ভারতের সমবায় আন্দোলনের দ্বিতীয় বিপ্লব বলা যেতে পারে।’

Advertisement