• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ডোভালের পরে রাশিয়ায় যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, মস্কো-দিল্লি বন্ধুত্বে জোর ভারতের

আমেরিকা-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনার আবহে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সক্রিয় পদক্ষেপ করছে নয়াদিল্লি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আমেরিকা-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনার আবহে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সক্রিয় পদক্ষেপ করছে নয়াদিল্লি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের রাশিয়া সফরের পর এবার মস্কোর পথে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আগামী ২১ আগস্ট তিনি বৈঠকে বসতে চলেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে বলে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এই সফর এমন এক সময়ে হতে চলেছে, যখন ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির কারণে। সম্প্রতি আমেরিকা ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে। আগে এই শুল্কহার ছিল ২৫ শতাংশ, যা দ্বিগুণ করে দেয় হোয়াইট হাউস। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ককেই এর কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, রাশিয়া এবং ভারতকে একসঙ্গে ‘অর্থনৈতিকভাবে মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

Advertisement

তবে ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির পরও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে কোনও ছেদ টানেনি নয়াদিল্লি। বরং, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের মস্কো সফরের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। রুশ সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’-এর সূত্র অনুযায়ী, চলতি আগস্ট মাসের শেষেই ভারত সফরে আসতে পারেন প্রেসিডেন্ট পুতিন, যদিও সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

Advertisement

এই প্রেক্ষাপটে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের আসন্ন রাশিয়া সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারির দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। অন্যদিকে, মার্কিন চাপের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ‘ভারত এখন একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমাদের জাতীয় স্বার্থে কোনও আপস করা হবে না।’

এর মধ্যেই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরে সমাজমাধ্যমে এক বার্তায় মোদী লেখেন, ‘পুতিন আমার বন্ধু। আমরা ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছি।’ দুই নেতার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারি, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement