• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নবান্ন অভিযানে বিশৃঙ্খলা ৫টি এফআইআর দায়ের

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নবান্ন অভিযানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে দায়ের এফআইআর।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নবান্ন অভিযানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধর ও হকার্স ইউনিয়নের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগের ভিত্তিতে মোট পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছে লালবাজার। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও ঘটনার তদন্ত চলছে। বিজেপি নেতা ও কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে চারটি অভিযোগ নিউ মার্কেট থানায় ও একটি হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের করা হয়েছে।

আরজি কর কাণ্ডের এক বছরে শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা–মা। সেই কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক ও কর্মী সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন। কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের তাণ্ডবে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, নবান্ন ও তার আশপাশের এলাকায় মিছিল করা যাবে না। বিকল্প স্থান হিসেবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে পারেন আন্দোলনকারী। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধর্মতলা থেকে পার্ক স্ট্রিট হয়ে নবান্নের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে মিছিল। মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির অন্য বিধায়ক ও কর্মী সমর্থকরা। পার্ক স্ট্রিট মোড়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেই সময় আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় আহত হন নির্যাতিতার মা। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতিতার মাকে মারধর করেছে। কিন্তু সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ।

Advertisement

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের পরিবর্তে পার্ক স্ট্রিটের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধর, হকার্স ইউনিয়নের অফিস ভাঙচুর, এক সাংবাদকর্মীর ক্যামেরা নষ্ট করে তাঁকে জোর করে আটকে রাখা ও একটি রাজনৈতিক দলের রাখির স্টলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় এফআইআর হয়েছে নিউ মার্কেট থানায়। সূত্রের খবর, পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর অভব্য ভাষা ব্যবহারের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলা দায়ের করার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

Advertisement