• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হড়পা বানে বিধ্বস্ত উত্তরকাশীতে উদ্ধার ৫৬৬, আটকে ৩০০ জন

উত্তরকাশীর বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখেন রাজ্য পুলিশের ডিজি দীপম শেঠ। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন।

নিজস্ব চিত্র

এখনও বিপর্যয় কাটেনি। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং তার জেরে ভয়াবহ হড়পা বানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে প্রায় চারদিন। এখনও আতঙ্ক কাটেনি। বিপদের মধ্যে রয়েছেন ধারালি এবং হর্ষিল উপত্যকার মানুষ। ঘটনার পর পরই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও সেনা বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার কাজে নামলেও এখনও উদ্ধার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৫৬৬ জন দুর্গত মানুষকে। এখনও ৩০০ জনকে উদ্ধার করার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজে ডগ স্কোয়াড, ড্রোন এবং গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডার নামানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে আছে কি না খুঁজে বার করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে।

উত্তরকাশীর বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখেন রাজ্য পুলিশের ডিজি দীপম শেঠ। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। ডিজি আবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কের উপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হর্ষিল সেক্টরে দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আটকে থাকা লোকজনের কাছে পৌঁছনো যায়। আবার ধারালির সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তাঘাট পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে মতলী থেকে হর্ষিলে যোগাযোগের জন্য উত্তরাখণ্ড সরকারের চারটি হেলিকপ্টারকে কাজে লাগানো হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে ধারালি এবং হর্ষিল গ্রামে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে নেমে আসে হড়পা বান। তার জেরে ধারালি গ্রামের একাংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ। ‘অপারেশন ধারালি’-তে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisement

Advertisement