• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কোচবিহারে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তবে পাল্টা তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এটি।

প্রতীকী ছবি

পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ কোচবিহারে। একটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তবে পাল্টা তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এটি।

সূত্রের খবর, দিনহাটার নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমারা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির চার কর্মীর বাড়িতে হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্ত ও পরিদর্শনে শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতিরাভা রায়, মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন, শীতলকুচির বিধায়ক বরেণচন্দ্র বর্মন, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন ও কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ বর্মন সহ অন্যান্য নেতারা।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিজেপির প্রতিনিধি দল এলাকায় পৌঁছে আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বহু মহিলা সহ সাধারণ মানুষ তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রতিনিধি দলের একটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। পরে নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রতিনিধি দল এলাকা ছেড়ে যান।

Advertisement

বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার জন্য সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। তাঁদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ঘিরে পরিকল্পিতভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূল এই ধরনের কায়দায় গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারে না।’

যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে লাগাতার অত্যাচার চলছে। কোচবিহারের বহু শ্রমিক মারধর, লুট ও মিথ্যা মামলায় শিকার হয়েছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করেছেন বিজেপি নেতাদের কাছে। বিক্ষোভে তাঁদের অংশগ্রহণ একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত।’ বর্তমানে কোচবিহারে রাজনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত। ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

Advertisement