• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফিক্সড ডিপোজিটের লোভে মাকে খুন, পালিত পুত্রের মৃত্যুদণ্ড

নৃশংস এই ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'ভারতীয় সংস্কৃতিতে মাকে ঈশ্বরতুল্য মনে করা হয়। এমন নিষ্ঠুর অপরাধ কোনওভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়।'

প্রতীকী চিত্র

ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা হাতাতে মাকে খুন করার অপরাধে পালিত পুত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিল মধ্যপ্রদেশের একটি আদালত। নৃশংস এই ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে মাকে ঈশ্বরতুল্য মনে করা হয়। এমন নিষ্ঠুর অপরাধ কোনওভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়।’

প্রায় ২০ বছর আগে গোয়ালিয়রের এক অনাথ আশ্রম থেকে দীপক পাচুরিকে দত্তক নিয়েছিলেন উষা দেবী ও তাঁর স্বামী। ২০২১ সালে উষার স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে ১৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা তুলে ফেলেন দীপক। ওই অর্থের একটি বড় অংশ তিনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু লোকসানের জেরে নিঃস্ব হয়ে যান।

Advertisement

এরপর মায়ের নামে থাকা ৩২ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের দিকেই নজর পড়ে তাঁর। মায়ের আপত্তির কারণে সেই টাকা তুলতে পারেননি তিনি। এরপর মাকে খুনের ছক কষেন দীপক। উষা দেবীর ওই ফিক্সড ডিপোজিটে একমাত্র নমিনি ছিলেন দীপকই। অর্থাৎ, উষার মৃত্যুর পর সেই অর্থ তাঁর হাতেই আসত।

Advertisement

২০২৪ সালের মে মাসে পরিকল্পনামাফিক বাড়ির সিঁড়ি থেকে ধাক্কা মেরে মাকে ফেলে দেন দীপক। তাতেও মৃত্যু না হওয়ায় লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং শেষে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পরে মৃতদেহ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে দিয়ে সেখানে দেয়াল তুলে দেন।

এরপর নিখোঁজ ডায়েরি করে থানায় যান দীপক নিজেই। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতিপূর্ণ বয়ানের কারণে সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন তিনি। তদন্তে তাঁকে আটক করে জেরা করতেই দীপক নিজের অপরাধ কবুল করেন। তদন্তে বিচারবিভাগীয় আধিকারিকের উপস্থিতিতে হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রডও উদ্ধার হয়। প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক দীপকের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন।

Advertisement