ওড়িশার বালেশ্বরের পরে এবার গ্রেটার নয়ডার শারদা বিশ্ববিদ্যালয়। ফের কলেজ চত্বর থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রীর দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মৃত ছাত্রীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে কলেজের ডেন্টাল বিভাগের এক শিক্ষক এবং এক শিক্ষিকার দিকে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই কলেজের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান এডিসিপি।
একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে ধৃত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ওই পড়ুয়া। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গ্রেটার নয়ডা পুলিশের অতিরিক্তি কমিশনার (এডিসিপি) সুধীর কুমার বলেন, ‘নয়ডার কলেজের হস্টেলে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। শুক্রবার খবর পেয়েই আমরা কলেজে যাই। দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
Advertisement
এডিসিপি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ফরেনসিক দলও ছিল। একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের নাম ছিল। আমরা এফআইআর করেছি। সুইসাইড নোটে যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, কলেজের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় মৃতার পরিবার। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Advertisement
দিনকয়েক আগে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে ওড়িশার বালেশ্বরের কলেজে গায়ে আগুন দেন এক ছাত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই কলেজের প্রিন্সিপালকেও।
Advertisement



