• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সাংগঠনিক ‘দুর্বলতা’য় মোদির সভার প্রচার নেই, দুর্গাপুরে দরজায়-দরজায় সুকান্ত

বিজেপির দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে সাধারণ জনতার মাঝে বরাবরই নানা ভাবে প্রচার চালানো হয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আজ, শুক্রবার দুর্গাপুরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর জনসভায় লোক জোগাড়ে কালঘাম ছুটছে বিজেপির রাজ্য নেতাদের। এই সভার কয়েকঘন্টা আগে অর্থাৎ শুক্রবার সকালে লোক জোগাড়ে দরজায় দরজায় ঘুরবেন বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় যোগদানের জন্য তিনি দরজায় দরজায় গিয়ে আমন্ত্রণ জানাবেন। বিলি করবেন আমন্ত্রণপত্রও।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তরপূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের যে সফরসূচি সরকারিভাবে পাঠানো হয়েছে, রাজ্যের প্রশাসন, পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তা এবং রাজ্যপালের কাছে, তা শেষ মুহূর্তে বদলে না-গেলে শুক্রবার সকালে এমনই অভিনব দৃশ্য দেখা যেতে পারে। আর বিজেপির হাইভোল্টেজ এই সভায় লোক জোগাড়ের এই দৈন্যদশা নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই কর্মসূচিকে সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রতিফলন বলে দাবি করেছে। যদিও বিজেপির মুখে অন্য সুর। তাঁদের বক্তব্য, এই কর্মসূচির লক্ষ্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো।

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘এই কর্মসূচির নেপথ্যে দুটো কারণ। প্রথমত, বিজেপি ভয় পাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক হবে না। তাই সভার আগে সকালেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোক ডাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, এটা সুকান্ত মজুমদারের নিজের তরফে একটা ভেসে থাকার চেষ্টা। শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হয়ে গিয়েছেন। এখন তাঁকে ঘিরেই সব খবর হচ্ছে। তাই সুকান্ত এই কর্মসূচি করছেন। ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে দেবেন।’

Advertisement

তবে অবশ্য বিজেপির দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে সাধারণ জনতার মাঝে বরাবরই নানা ভাবে প্রচার চালানো হয়। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেটের কথায়, ‘আমি নিজেও তো মঙ্গলবার থেকে দুর্গাপুরে এসে প্রচার শুরু করেছি। পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে সভায় যেতে বলছি। তাঁদের হাতে কার্ড দিয়ে আসছি। আজ সন্ধ্যায় শমীকদাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করবেন। শুক্রবার সকালে সুকান্তদাও তেমনই কর্মসূচি করবেন।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা ২টো নাগাদ অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সড়কপথে সেখান থেকে পৌঁছবেন দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়াম। ওই যাত্রাপথের শেষ তিন কিলোমিটার ধরে রাস্তার দু’পাশে বিজেপি কর্মীদের জমায়েত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে পুষ্পবৃষ্টি হবে বলেও বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, সভাস্থলে পৌঁছনোর পথেই প্রায় রোড শোয়ের ধাঁচে একদফা জনসংযোগ সেরে নেবেন মোদী। এরপর তিনি প্রশাসনিক সভার মঞ্চে পৌঁছবেন বেলা আড়াইটে নাগাদ। সেখানে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক এবং রেল সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা শুরু হবে বেলা ৩টেয়।

Advertisement