শুক্রবার রাতে বিজেপি নেতা খুন হওয়ার পরেই সরকারকে পড়তে হয়েছিল চরম রোষের মুখে। বিহারের ব্যবসায়ী ও বিজেপি নেতা গোপাল খেমকা খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারকে তুলোধোনা করেছিল বিরোধীরা। ভোটের আগে সব দিক বিবেচনা করেই, উপযুক্ত পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিলেন সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার সিংহ। তিনি বলেন, খুনিদের রেয়াত কারা হবে না। প্রয়োজনে এনকাউন্টার করে হত্যা করা হবে খুনিদের। এমন কি তাদের বাড়িও ভেঙে ফেলা হবে বুলডোজার চালিয়ে।
গোপাল খেমকা খুন হওয়ার পর থেকেই নীতীশ কুমার সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি তেজস্বী যাদবও এই খুনের ঘটনার কড়া সমালোচনা করেন। এর আগে তাঁর ছেলে গুঞ্জন খেমকাও বাড়ি সামনে একই ভাবে খুন হয়েছিলেন। তবে গোপালের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে বিহার প্রশাসন। অপরাধীদের খুঁজে বের করে যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার সিংহ।
Advertisement
বিজয়কুমার সিংহ নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আমরা গোপাল খেমকার পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, খুঁজে বের করা হবে। দরকারে এনকাউন্টার করা হবে। বুলডোজার চালিয়ে তাঁদের বাড়ি ভেঙে ফেলতে পিছপা হবে না প্রশাসন। বিহারের পুলিশ ও প্রশাসনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক বা আইনি রক্ষাকবচ থাকবে না, কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’
Advertisement
এর আগে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ‘এনডিএ জোট বিহারকে দেশের অপরাধ রাজধানীতে পরিণত করেছে। এখানে সরকার ব্যর্থ।’ পাশাপাশি তেজস্বী যাদব জানিয়েছিলেন, ‘বিহার থেকে ব্যবসায়ীরা এখন পালাতে চাইছে। তা হলে আগামী দিনে কীভাবে রাজ্যে শিল্প আসবে?’ বিরোধীদের অভিযোগের মুখে পড়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বিহার সরকার। এর ফলে আগামী দিনে বিহারে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমে কিনা সেটাই এখন দেখার।
Advertisement



