• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের মধ্যে প্রাণবন্ত আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

এই কর্মসূচিটি দ্বিভাষিক রূপে সাবলীলভাবে সঞ্চালনা করেন লোকসংস্কৃতি বিভাগের গবেষিকা অনন্যা গাইন ও শিপ্রা ঘোষ।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগ, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অসমের পূব কমরূপ কলেজের সহযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করে আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি ও বক্তৃতা-সহ-প্রদর্শনী অনুষ্ঠান।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্ট অতিথি, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কল্লোল পাল, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা তপতী চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজ্য অনুষদের অধ্যক্ষ অধ্যাপিকা সাবিত্রী নন্দ চক্রবর্তী, পূব কমরূপ কলেজের কালচারাল ক্লাবের সভাপতি ড. বর্ণালী ডেকা; মুক্ত ও দূরশিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আশীষ পানিগ্রাহী এবং লোকসংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষকেরা- কাকলী ধারা মণ্ডল, ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান; অধ্যাপক সুজয়কুমার মণ্ডল, কর্মসূচির আহ্বায়ক; অধ্যাপক তপনকুমার বিশ্বাস এবং অধ্যাপক অসীমানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ও কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকেরা।

Advertisement

এই কর্মসূচিটি দ্বিভাষিক রূপে সাবলীলভাবে সঞ্চালনা করেন লোকসংস্কৃতি বিভাগের গবেষিকা অনন্যা গাইন ও শিপ্রা ঘোষ। কর্মসূচিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং অধ্যাপক সকলে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের ঐতিহ্যবাহী লোক, ধ্রুপদী ও আধুনিক নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও শিক্ষকবৃন্দ। কর্মসূচির একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল ড. বর্ণালী ডেকার বক্তব্য ও প্রদর্শন-সহ-আলোচনা, যেখানে তিনি অসমের লোকঐতিহ্য নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন এবং সত্রিয় নৃত্যের একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কল্লোল পাল অনুষ্ঠানের সমস্ত অংশগ্রহণকারী ও আহ্বায়ককে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অসমে হওয়ায় আজকের অনুষ্ঠান তাঁর মনে বহু স্মৃতি জাগিয়ে তোলে এবং আনন্দে ভরিয়ে দেয়।

কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তপতী চক্রবর্তী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং উচ্চশিক্ষার পরিসরে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন। তিনি ভবিষ্যতেও এধরনের যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুজয়কুমার মণ্ডল উপস্থিত সকল বিশিষ্ট অতিথি, শিল্পী ও অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়া তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যায়তনিক পরিসরে নতুন প্রজন্ম যেন ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই ঐশ্বর্যকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ধারণ ও বহন করে এবং আজকের অনুষ্ঠান প্রমাণ করল যে তা যথার্থ ও দক্ষ হাতে সুরক্ষিত রয়েছে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি এক অনন্য সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যেখানে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক শিখন, অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের এক অনন্য সুযোগ পায়। অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয় এবং আশা করা যায় ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এটি সত্যিই অসম ও পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মিলিত উপলব্ধিকে গভীরতর করেছে।

Advertisement