শুক্রবার বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস পালিত হল গোটা বিশ্বে। প্রতিবছরের মতো এবারেও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস উদযাপিত হল। এছাড়া বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস উপলক্ষে বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা চক্রের বিষয় ছিল ‘ উত্তর-পূর্ব ভারতের লোকশিল্প: পরিচায়ক, প্রবহমানতা ও উদীয়মান বাস্তবতা’।
আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সরিৎকুমার চৌধুরী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজ্য অনুষদের অধ্যক্ষ উদয়ভানু ভট্টাচার্য, শিক্ষা অনুষদের অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত গৌড়। অধ্যাপক সরিৎকুমার চৌধুরী উত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহ্য, ধারাবাহিকতা এবং উদীয়মান বাস্তবতা সম্পর্কিত বক্তৃতা দেন। এই প্রেক্ষাপটেই উত্তর-পূর্ব ভারতের লোকসংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও জনজীবনে তার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশের জনজাতি জীবনের রীতি-নীতি এবং জনজাতি সমাজে প্রচলিত বিশ্বাস-সংস্কার ও সৃষ্টি সংক্রান্ত ভাবনা প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন।
Advertisement
লোকসংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিদ্যায়তনিকভাবে মিলন ঘটল। অধ্যাপক উদয়ভানু ভট্টাচার্য উপাচার্য বলেন, ‘লোকসংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের যোগসূত্র বাড়াতে হবে। পাশাপাশি লোকসংস্কৃতির উপাদানের সংরক্ষণে আরো বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’ অধ্যাপক শ্রীকান্ত গৌড় জানান, লোকসংস্কৃতি বিভাগ বাংলা তথা ভারতীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এই বিভাগ বিশ্ব লোকসংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পিঠস্থান হয়ে উঠেছে।
Advertisement
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোকসংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক সুজয়কুমার মণ্ডল। তিনি বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। লোকসংস্কৃতির বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস উদযাপনের আয়োজন হলেও, সহযোগিতায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিবিদ্যাচর্চা কেন্দ্র। এদিনের অনুষ্ঠান নিপুনভাবে সঞ্চালনা করেন লোকসংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সংস্কৃতিবিদ্যা-চর্চা কেন্দ্রের যুগ্ম অধিকর্তা ড. দেবলীনা দেবনাথ।
Advertisement



