সোশ্যাল ডিসটেন্সিং যাতে আরও কঠোরবাবে দেশে পালিত হয় তার জন্য একাধিক রাজ্য ভারতে লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই চলছে ২১ দিনের লকডাউন প্রক্রিয়া। এমন অবস্থায় বহু পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফেরার উদ্যোগে পথ চলা শুরু করেন। আর এই শ্রমিকদের নিয়েই বড়সড় সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক ।
ঘরে ফেরাদের নিয়ে আশঙ্কা! করোনার সচেতনতা নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক একটি নয়া রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বগ প্রকাশ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া এমন একটি এলাকা, যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস। সেখানে বস্তি এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বসবাসের এলাকা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
Advertisement
ভারত-পাক-বাংলাদেশের প্রতি বার্তায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে করোনার আক্রমণের জেরে রাতারাতি বহু জায়গায় পরিবহন স্তব্ধ হয়ে যায়। যার ফলে শ্রমিকদের ঘরে ফেরার তাড়াহুড়ো পড়ে। আর সেই কারণেই বহু জায়গায় জমায়েত দেখা যায়। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আশঙ্কা, এর জেরে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে করোনার বিপুল প্রভাব পড়তে পারে।
Advertisement
তবে করোনা দংশনেও দক্ষিণ এশিয়ায় ভালো দিক কোনটি? বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, কোভিড ১৯-এর প্রবল আক্রমণের মধ্যেও সবচেয়ে ভালো দিক হল, দক্ষিণ এশিয়ায় ৬৫ বছরের কম বয়সী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। যা চিনে দেখা যায়নি, অন্যদিকে তা মার্কিন মুলুকেও দেখা যায়নি। ফলে করোনার প্রকোপে মৃত্যুর হারের নিরিখে দক্ষিণ এশিয়া তবুও কিছুটা ভালো পরিস্থিতিতে তুলনামূলকভাবে।
ভারতকে সতর্কতা বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্তা বলছে, যে সমস্ত এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা পৌঁচচ্ছেন, সেই এলাকাগুলিকে সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি করা ভালো। কারণ, এখানে কোভিড ১৯-এর ঘটনা আরও বাড়তে পারে। বিশ্বব্যাঙ্কের দাবি, এই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভারতের হটস্পটগুলিতে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া। সেক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকেও নজর দিতে হবে।
Advertisement



