• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মোদীর চিঠির জবাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধার বার্তা ইউনূসের

মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমে নিজের সেই চিঠি পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে মোদীর লেখা চিঠিটিও তিনি প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গত ৪ জুন চিঠি লিখেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার দুই দিন পরেই চিঠির জবাব দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর চিঠিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমে নিজের সেই চিঠি পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে মোদীর লেখা চিঠিটিও তিনি প্রকাশ করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে এবং বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই উৎসব ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ। ভারতে লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে পারি। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে পারস্পরিক সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, যা শান্তির পৃথিবী গড়ে তুলতে প্রয়োজন। আপনার সুস্বাস্থ্যের কামনা করছি। ‘

তার দুই দিন পর মুহাম্মদ ইউনূস নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত চিঠিটি আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সমস্ত মানুষকে আমিও ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ ইউনূস লিখেছেন, ‘এই উৎসব আত্মত্যাগ ও সংহতিবোধে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একত্রে নিয়ে আসে। এই উৎসব সমস্ত বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত, আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা আমাদের দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

Advertisement

উল্লেখ করা যেতে পারে, গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন। তারপর গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান উপদেষ্ঠার পদ গ্রহণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বেড়েছে বলে বহু অভিযোগ উঠেছে। ভারত সরকারও এ নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে ঈদ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদীর চিঠির জবাবে মুহাম্মদ ইউনূসের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

Advertisement