ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি দেয় যে পাকিস্তান সেই পরমাণু শক্তিধর দেশেই ঠিকমতো খেতে পায় না মানুষ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্টে পাকিস্তানের এই চরম দুর্দশার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ জনসংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র। এছাড়া পাকিস্তানের ১৬ শতাংশ মানুষ এতটাই দরিদ্র যে, দুবেলা তাঁরা খেতেও পান না। বিশ্বব্যাঙ্কের ২০১৮–১৯ সালের সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে এবং মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে নিচের দিকে নেমে চলেছে পাকিস্তান। চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে সেখানকার মানুষ। আইএমএফ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করলেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি ঘটেনি। বিশ্ব ব্যাঙ্ক সাধারণত দারিদ্রসীমা নির্ধারণ করে দৈনিক তিন ডলার আয়ের ভিত্তিতে। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২৫৭ টাকা। সেখানেই পাকিস্তানের রিপোর্ট অনুযায়ী সে দেশের ৪৫ শতাংশ মানুষ দিনে ২৫৭ টাকাও আয় করতে পারে না।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে চরম দারিদ্রের পরিমাণ আগে ছিল ৪.৯ শতাংশ, তা এখন বেড়ে হয়েছে ১৬.৫ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, চরম দারিদ্রসীমা নির্ধারিত হয় দৈনিক ২.১৫ ডলার আয়ের ভিত্তিতে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮৪ টাকা। রিপোর্টে প্রকাশ, এই সামান্য অর্থও উপার্জন করতে পারে না পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ, যার ফলে সব দিক থেকেই চরম দারিদ্র জড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানের জনজীবনে। শুধু যে অর্থ তা–ই নয়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিককালে বিশ্বের বহু দেশ নিজেদের পোলিও মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। অথচ গত দেড় বছরে পাকিস্তানে ৮১টি পোলিও আক্রান্তের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সব মিলিয়ে দেশের জনগণের দুর্দশা ও দুঃখ কষ্ট চরমে উঠলেও এখনও সন্ত্রাসবাদকে ছাড়তে রাজি নয় পাকিস্তান। ভারতের পহেলগামে যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তার পিছনে রয়েছে এই দারিদ্রক্লিষ্ট দেশটি, যা আবার নিজেদের পরমাণু শক্তিধর বলে প্রচার করে।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



