• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ক্রিকেট ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিল মোহনবাগান

জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানেই থমকে যায় ইস্টবেঙ্গল। অভিষেক দাস ৩৪, সন্দীপন দাস ৩৩ এবং ঋত্বিক চ্যাটার্জি ২২ রান করলে ইস্টবেঙ্গলের জয় আসেনি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ফুটবলে ডার্বি ম্যাচ বলতেই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের লড়াইয়ের উত্তেজনা এমন জায়গায় পৌঁছয়, তা আগাম বলা যায় না। এই দুই প্রধান যে কোনও ম্যাচে বা যে কোনও খেলায় মুখোমুখি হোক না কেন, তার একটা আলাদা উৎসাহ চোখে পড়ে। এই তো কিছুদিন আগে হাওড়ার ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামে কলকাতা হকি লিগে ডার্বি ম্যাচে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা। ওই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল মোহনবাগান। দীর্ঘদিন বাদে হকিতে অংশ নিয়ে মোহনবাগান সেরা খেতাব তুলে নিয়েছিল। সেদিন প্রচুর দর্শক মাঠে এসেছিলেন।

আর শনিবার সিএবি পরিচালিত জে সি মুখার্জি টি-টোয়েন্টি খেলায় ক্রিকেট ডার্বিতে মোহনবাগান জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে। ক্রিকেট যুদ্ধে দুই প্রধান হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিল। শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের কাছে মাত্র ৯ রানে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। শেষ চারের খেলায় এবারে মোহনবাগানকে খেলতে হবে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে। এদিন দেশবন্ধু পার্কে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মোহনবাগান। ১৯.২ ওভারে ১৫৩ রান করে মোহনবাগানের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। ওপেনার রঞ্জোত সিং খাইরা দুরন্ত ইনিংস খেলে ১৭ বলে ৩১ এবং অঙ্কুর পাল ১১ বলে ২০ রান করেন। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিয়ে খেলতে থাকে মোহনবাগান। সৌরভ হালদার ৩২ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। লাল-হলুদের হয়ে কণিষ্ক শেঠ পান ২৬ রানে ৪ উইকেট।

Advertisement

জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানেই থমকে যায় ইস্টবেঙ্গল। অভিষেক দাস ৩৪, সন্দীপন দাস ৩৩ এবং ঋত্বিক চ্যাটার্জি ২২ রান করলে ইস্টবেঙ্গলের জয় আসেনি। মোহনবাগানের বোলাররা বেশ চাপে রেখে দিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের খেলোয়াড়দের। অনুরাগ তিওয়ারি, এস যাদব ও প্রদীপ কুমার পান দু’টি করে উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সৌরভ হালদার।

Advertisement

অন্য একটি ম্যাচে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যায় ভবানীপুর ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৫ রান করে খিদিরপুর। শমীক কর্মকারের ৩৪ রান ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই ভবানীপুরের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। রাজকুমার পাল ৪ ওভারে ১১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার সম্মান পান। প্রদীপ্ত প্রামাণিক এবং দীপক কুমারও পেয়েছেন দু’টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩.২ ওভারে লক্ষ্য অর্জন করে ভবানীপুর। ভালো খেলার নিদর্শন রাখে শাকির হাবিব গান্ধী। তাঁর ৩৭ বলে ৫৭ রানের ইনিংসই ভবানীপুরের জয়ের পথ সহজ করে দেয়। জয়জিৎ বসু ২৪ এবং অধিনায়ক আমির গণি ২০ রানে নটআউট থেকে যান।

Advertisement