রাজ্যসভায় বাম এবং কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রথমে সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রার্থী করার প্রস্তাব থাকলেও পলিটব্যুরাের আপত্তিতে তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে বিকল্প হিসেবে চেয়েছিল আলিমুদ্দিন। সােমবার রাহুল গান্ধির সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির আলােচনার পরই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নামই চূড়ান্ত হয়। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সবুজ সংকেত মেলার পরই সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বকে একথা জানিয়ে দেন ইয়েচুরি।
এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ বাম প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্তটিও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর নাম ঘােষণা হওয়ার পর বিকাশবাবু কবে মনােনয়ন জমা দিচ্ছেন, এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার হােলির ছুটি। বৃহস্পতিবার মনােনয়নপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করব। গত লােকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলেন তিনি। যদিও তিনি হেরে গিয়েছিলেন। তিন বছর আগে রাজ্যসভায় প্রার্থী হয়েও অন্তিম সময়ের কিছু সময় পর অতিরিক্ত হলফনামা জমা পড়ায় মনােনয়ন খারিজ হয়ে যায় তাঁর।
Advertisement
পঞ্চম আসনে প্রার্থী হিসেবে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম ঘােষণা হওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে আলােচনা শুরু হয়েছে। বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, তাদের প্রার্থীর রাজ্যসভায় যেতে তেমন সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। কারণ দলত্যাগীদের বাদ দিয়েছ বাম ও কংগ্রেসের মিলিত বিধায়কের সংখ্যা এখন ৫১ আর তৃণমুলের প্রতীকে জয়ী বিধায়ক ২০৭ জন। শাসক দল তৃণমূল যদি পঞ্চম আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে চার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করে যে বাড়তি ভােট তাদের হাতে থাকবে, তা বাম ও কংগ্রেসের মিলিত ভােটের চেয়ে অনেকটাই কম। আর বাম ও কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দল তৃণমূলে যােগ দিয়েছে এমন বিধায়কের সংখ্যা ১৭।
Advertisement
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হওয়ার পর বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন এমন বিধায়কের সংখ্যা ১০ জন। অর্থাৎ দলত্যাগী বিধায়করা তৃণমূলকে ভােট দিলেও তাদের পঞ্চম প্রার্থীর জয় নিশ্চিত একথা বলা যায় না। পঞ্চম প্রার্থী হিসেবে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের জয়ী হওয়ার বিষয়ে কংগ্রেস নেতা দুল মান্নান বলেন, আমাদের প্রার্থীকে পরাজিত করতে ভাঙানাের খেলায় নামতে হবে তৃণমূলকে। বিজেপিতে চলে যাওয়া বিধায়কদেরও সমর্থন নিতে হবে। একাজ করতে গেলে মুখােশ খুলে যাবে তৃণমূলেরই।
অপরদিকে, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত, জয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই পঞ্চম আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী।
Advertisement



