ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা টিম। আজ শুক্রবার গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই গোলের ঝড় তোলে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলে খেলা ঘানার পেশাদার মহিলা ফুটবলার এলশাদাই আচেম্পং ম্যাচের ২৮ ও ৩৭ মিনিটে অর্থাৎ প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন। এরপরে ম্যাচের ৪৫ মিনিটের ভিতরেই ব্যবধান বাড়ান সৌম্য গুগুলোথ। ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোল করেন গত ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ম্য়াচের একমাত্র গোলদাতা সৌম্য গুগুলোথ। এরপরে দ্বিতীয়ার্ধে কোনও গোল হয়নি। এর ফলে গোকুলাম কেরালাকে ৩-০ হারিয়েই ট্রফি তুলল ইস্টবেঙ্গল।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসি-কে হারিয়ে ভারতীয় মহিলা ফুটবলের সেরা তকমা জিতে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
Advertisement
এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা আর ট্রফি দেওয়াটা ছিল শুধু মাত্র নিয়মরক্ষার। ইন্ডিয়ান উমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগেই এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলার ছাড়পত্র অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল আজ ছিল শুধু ঘোষণার পালা। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে গোকুলাম কেরালার মুখোমুখি হওয়ার আগে থেকেই তাই লাল-হলুদ ব্রিগেডের আবেগটা ছিল অন্য রকম। মাঠে দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে আবার মহিলা ভক্তরাও লাল হলুদ রঙে মাঠে এসেছিলেন।
Advertisement
প্রথমবার মহিলা আইলিগ জয় সঙ্গে এশিয়ার মঞ্চে সুযোগ পাওয়ার স্বাদ সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আনন্দ ছিল আকাশছোঁয়া। সেই কারণেই ঐতিহাসিক এই দিনে ইস্টবেঙ্গল মাঠে থ্রি ডি টিফো এনেছিলেন লাল হলুদ ভক্তেরা। তাতে ছিল এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার বার্তা। এই ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখতে ইস্টবেঙ্গল মাঠে উপস্থিত ছিলেন লাল-হলুদের পুরুষ দলের কোচ অস্কোর ব্রুজো।
প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে বহু খুদেও এদিন মাঠে এসেছিলেন। নতুন প্রজন্মের গলায় গর্জে উঠল ইস্টবেঙ্গলের স্লোগান। বহু দিন পরে ইস্টবেঙ্গলের এমন সাফল্য দেখতে নিজেদের ঘরে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু প্রবীন সমর্থকও।
তবে এত আনন্দের মাঝেও সকলের একটাই প্রশ্ন ছিল, সত্যিই কি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচের পরে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি তুলে দেওয়া হবে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে? নাকি ইস্টবেঙ্গল দলের হাতেই ট্রফি উঠবে। ১৪ ম্যাচে ১২টি জয় ও ১টি ড্র এবং ১টি ম্যাচে হারের ফলে ১৪ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান উমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে লাল হলুদের মহিলা ফুটবল দল।
Advertisement



