• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

উত্তর প্রদেশে নাবালিকাকে ধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাবালিকার গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আবার পাশবিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। বারাণসী, কাসগঞ্জের পর এবার ঘটনাস্থল রামপুর জেলা। বুধবার সকালে মূক ও বধির এক এগারো বছরের নাবালিকাকে একটি মাঠ থেকে নগ্ন এবং অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর তার উপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাবালিকার গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণের অভিযোগে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুধবার তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মাঠের মধ্যে কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের মানুষ। তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার মুখে ভারী এবং ভোঁতা কোন জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। নাবালিকার মুখেও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। তার গায়ে কোনও জামা ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এরপর নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মেরঠে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

শারীরিক পরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, নৃশংস নির্যাতন চালানো হয় নাবালিকার উপর। মেয়েটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এমনকী গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা রয়েছে।এক বা একাধিক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে সন্দেহ চিকিৎসকদের।  চিকিৎসক জানিয়েছেন,  সিগারেট জাতীয় কোন কিছুর সাহায্যে তার গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও ওই নাবালিকা ট্রমার মধ্যে রয়েছে। এক চিকিৎসকের কথায়, ‘এ রকম ভয়ঙ্কর ঘটনা আগে কখনও দেখিনি।’

Advertisement

রামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতুল কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ । সেই ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ওই যুবক। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। সেই গুলি  অভিযুক্তের পায়ে লাগে। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রামপুরের পুলিশ সুপার বিদ্যাসাগর মিশ্র জানিয়েছেন, কিশোরীর মা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তাঁর কন্যা কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না।

প্রসঙ্গত. গত ৪ এপ্রিল বারাণসীর গণধর্ষণের ঘটনার পর নিজের কেন্দ্রে এসে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুকত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে, সেই সতর্কবার্তাও দেন। এরপর পাঁচ দিনের মধ্যেই ওই মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বারাণসীর ঘটনার পর কাসগঞ্জেও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এবার ফের নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল যোগীরাজ্যে।

Advertisement