• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আজ প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের মামলার শুনানি

আদালত সূত্রে খবর, এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডি‌ভিশন বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত রয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

২০১৬-এসএলএসটির পর এবার নজরে প্রাথমিক। আজ সোমবার অগ্নিপরীক্ষা প্রাথমিকের। এদিন ২০১৬ সালেরই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এতেই অনেকেরই বুকে ঢাক পিটতে শুরু করে দিয়েছে। কারণ, ফের একবার প্রশ্নের মুখে বাংলার হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। প্রাথমিকের এই মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারণ, ইতিমধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, আদেও তাঁদের চাকরিটা থাকবে তো? নাকি এসএসসি প্রার্থীদের মতো তাঁদের কপালেও দুর্ভোগ নাচছে?

Advertisement

এসএসসি দুর্নীতির রায় হতেই এ বার গত প্রায় ১ বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার শুনানি শুরুর বিষয়ে আর্জি জানাতে উদ্যোগী হয়েছেন মামলাকারীরা।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডি‌ভিশন বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই মামলায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর সেই নির্দেশকে পালটা চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

আদালত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আরেকটি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিং ৪২ হাজার নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ওদিকে ২০১৬ সালের পাশাপাশি ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলাটিও এখন বিচারাধীন। সূচি অনুযায়ী বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হওয়ার কথা। সেই মামলার রায়ের উপরে নির্ভর করছে প্রায় ৬০ হাজার প্রাাথমিক শিক্ষকের চাকরির ভবিষ্যৎ। যার মধ্যে রয়েছেন ২০১৬–য় চাকরি পাওয়া সেই ৩২ হাজারও। সেক্ষেত্রে বাংলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভাগ্যে কী রয়েছে, এদিন সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

প্রসঙ্গত, সদ্য ২০১৬ সালের এসএসসি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চিহ্নিতদের ১২ শতাংশ হারে সুদ সমেত বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যদিও বিশেষ কিছু কর্মীদের ক্ষেত্রে এই রায় প্রযোজ্য নয় বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, এবার প্রশ্নের মুখে রয়েছে ৩৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

Advertisement