ছত্তিশগড়কে নকশাল মুক্ত করতে এবার জনতার প্রতিরোধ গড়তে চাইছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যেসব গ্রামকে নকশাল মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হবে, সেই সব গ্রাম পিছু এক কোটি টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কৃত সেই অর্থ গ্রামের উন্নয়ন ও নকশালদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যয় করা হবে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসন ও বিকাশই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। শনিবার দান্তেওয়াড়া জেলার একটি অনুষ্ঠানে এসে এই চমকপ্রদ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গ্রাম পিছু এই এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণার উদ্দেশ্য, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে সম্পূর্ণ নকশাল মুক্ত ঘোষণা করা। সেই লক্ষ্যে এগোতেই এই নজিরবিহীন ঘোষণা করেন অমিত শাহ। তবে এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে আরও বেশ কিছু ঘোষণা করেছেন।
Advertisement
জানা গিয়েছে, কেন্দু পাতা সংগ্রহকারীদের জন্য টাকার পরিমাণও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ প্রতি বস্তা ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই টাকা আদিবাসীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া তিনি আদিবাসী গান ও সংস্কৃতি রক্ষা আহ্বান জানিয়েছেন। এখানকার জনপ্রিয় ‘বাস্তার পানদুম’ উৎসব ২০২৬ সাল থেকে জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পাবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। উৎসবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আদিবাসীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ছত্তিশগড়ের তৈরি ধাতব শিল্প, টেরাকোটা ও কাঠের হস্তশিল্পের প্রসারের ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। ঘোষণা করা হয়েছে, এইসব শিল্পকে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রকল্পের আওতায় এনে আরও প্রচার করা হবে।
Advertisement



