চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম খেলাতেই ঘরের মাঠে হারতে হল আয়োজক পাকিস্তানকে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল, তাতে অনেকেই মনে করেছিলেন, হয়তো পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে জয়ের মুখ দেখতে পাবেন। কিন্তু সেই ভাবনা একেবারেই উল্টে গেল। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হল পাকিস্তানকে। আর নিউজিল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটার ইয়ং শতরান করলেন এবং লাথামও শতরান করে দলকে বেশ ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়ে পাকিস্তান সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজমকে তীব্র কটাক্ষের সামনে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিজের স্বার্থ দেখে ধীর গতিতে ব্যাট করেছেন বাবর। যার ফলে পাকিস্তান লক্ষ্যে পৌঁছতেই পারেনি।
সাধারণত এই ধরনের ক্রিকেট খেলে থাকেন যে খেলোয়াড়, তাকে স্বার্থপরই বলা হয়। তিনি কখনওই দলের কথা ভাবেন না। বাবর ৯০টি বল খেলেছেন, আর তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৪ রান। একদিনের খেলায় সবসময় আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে খেলতে হয়। তার ধারে কাছে যাননি বাবর। অর্ধ শতরান করেন ৮১ বল খেলে। কোনও পরিকল্পনাই ছিল না খেলার মধ্যে। বল নষ্ট করে নিজেকে উইকেটে রেখে দেওয়ার ভাবনাই বড় করে দেখা দিয়েছিল।
Advertisement
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম অত্যন্ত বিরক্ত বাবরের ধীর গতির খেলার জন্য। তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই না দলের প্রধান ক্রিকেটার ৯০ বলে ৬০ রান করুক। তার থেকে ৩০ বলে ৩৫ রান করলেও চলবে। এখনকার দিনে এত ধীর গতির খেলা চলে না। ক্রিকেটের ধারাপাত অনেক বদলে গেছে। চেতেশ্বর পুজারার মতে, বাবরের খেলায় কোনও আগ্রাসন ছিল না। গন্ডগোল ছিল পায়ের ছন্দেও। বলেছেন, ‘স্পিনারদের বিরুদ্ধে ওর পদক্ষেপ ঠিক ছিল না। পা ব্যবহারই করতে পারছিলেন না। বলের কাছাকাছি পৌঁছতে দ্বিধা প্রকাশ করছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন কখন বল ওর কাছে আসে। শুধু তা-ই নয়, ও কোনও বলে চার বা ছয় মারার চেষ্টাই করেননি। খুচরো রান নেওয়ার দিকে মন ছিল। এর পিছনে কী কারণ ছিল তা জানা নেই।
Advertisement
প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি নাম না করে বাবরকে স্বার্থপর বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘৮১ বলে ৫০ করেছে বাবর। ও কি স্রেফ ৫০ করার জন্য খেলছিল? এখন জিজ্ঞাসা, দেশ আগে না বাবর আগে? ৫০ করতে গিয়ে মাত্র পাঁচটা চার মেরেছেন। ওর থেকে ভাল তো সলমন আঘা খেলেছেন। বাবরের সমালোচনা করার জন্য নাকি আমাদের গদ্দার বলা হয়। এ বার কী বলবেন? আপনাদের উপরেই এই ব্যাপারটি ছেড়ে দেওয়া হল।’
Advertisement



